Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্রীটির সাথে হাসান আল মামুনের শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৩৮ পিএম

ডাকসুর সাবেক (ভিপি) নুরুল হক নুর ও হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তদন্ত কমিটি সেই ছাত্রীর সাথে হাসান আল মমুনের শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পায়নি । রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সদস্য তারেক রহমান ও রাজিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীকে (ছাত্রী) বিভিন্ন মিডিয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী বলে প্রচার করা হচ্ছে। সাংগঠনিক পরিচয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে। আদতে অভিযোগকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী নন। কখনো তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। প্রতিবেদনে কমিটি জানায়, প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোন ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি তথ্য প্রমাণ পায়নি। এমনকি অভিযোগকারীও এ বিষয়ে কমিটির কাছে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। আরো বলা হয়, অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। তবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। নুরুল হকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর দেখা করার বিষয়ে বলা হয়, অভিযোগকারী এজাহারে ২৪ জুন নুরুল হক নুরের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নীলক্ষেত দেখা করার কথা উল্লেখ করলেও অভিযোগকারীর সঙ্গে নুরের সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। তবে আনুমানিক মাস তিনেক আগে অভিযোগকারী একবার নুরুল হক নুরের কাছে ফোন করে ঢাকায় এসে দেখা করবেন বলে জানালেও আর দেখা করেননি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী। এতে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরদিন একই বাদী কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তবে ১৭ দিন পার হলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী। টানা অনশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা, হাতে স্যালাইন লাগিয়ে শুয়ে আছেন ওই ছাত্রী। এসময় তার পাশে সংহতি জানিয়ে অবস্থানরত সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক জেসমিন আক্তার রিপা বলেন, একটানা না খাওয়ার কারণে রাতে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি ১১ বার বমি করেছেন। তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ জাকির হোসেন ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:২৬ এএম says : 0
    সময় গেলে সাধণ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahid ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৪২ পিএম says : 0
    রাস্তায় কত বেশ্যা আছে টাকার জন্য ঘুরে। কোর্ট চত্বরে কত দালাল আছে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার জন্য ঘুরে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ