Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যয় বেড়েছে ২৫৭ কোটি টাকা

আনোয়ারা-পতেঙ্গা উপকূলীয় বাঁধ সুরক্ষা প্রকল্প

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-পতেঙ্গা উপকূলীয় বাঁধ সুরক্ষা প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে আরও ২৫৭ কোটি টাকা। এর আগে এ প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ৩২০ কোটি টাকা। বর্তমানে এর আকার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে মোট ৫৭৭ কোটি টাকা। বিশাল বরাদ্দের এ টাকায় টিকসই উন্নয়ন হলে আনোয়ারা, পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সুরক্ষা হবে এবং ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ও জোয়ারের প্রভাব থেকে উপকূলবাসী রক্ষা পাবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় দুই দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা ও ৫টি রেগুলেটর নির্মাণ করা হবে। চলমান প্রকল্পে ৬৪ দশমিক ৩২৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামত, উচ্চতা উন্নীতকরণ করা হবে। ১১ দশমিক ৬৫২ কিলোমিটার নদীর তীর ও সি ডাইক সংরক্ষণ করা হবে। সংশোধিত প্রকল্পে তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৩.৮০২ কি. মি। জোয়ারের পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যে ৩৫টি রেগুলেটর মেরামত ও নির্মাণ করার কথা ছিল তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪০টিতে। এ প্রকল্পের অধীনে ১৭.৬৯০ কি.মি খাল পুনঃখনন করা হবে। পুরো প্রকল্পে ৬৭ হাজার গাছ রোপণ করা হবে।
প্রকল্পের কাজে ব্লক নির্মাণে শিলক বা বেতাগীর বালু ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে আনোয়ারা প্রকল্পে সাঙ্গু নদীর লবণমিশ্রিত বালু দিয়ে ব্লক বানানো হয়েছে।
বাঁধ উচুকরণের ক্ষেত্রে ঢালের (স্লােপ) ২০ থেকে ২৫ ফিট দূর থেকে মাটি কাটার কথা থাকলেও ১০ থেকে ১৫ ফিটের কম দূরত্ব থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। যার ফলে রায়পুর ইউনিয়নের পরুয়া পাড়া, গলা কাটার ঘাট, বার আউলিয়া ও ফকির হাট অংশে বাঁধ দেবে গেছে। এতে প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। রায়পুর ইউনিয়নের পরুয়া পাড়া, গলাকাটার ঘাট, বাইগ্গার ঘাট, বার আউলিয়া, ফকির হাট ও সরেঙ্গা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ দেবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, পানির উচ্চতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরো এলাকায় ব্লক স্থাপন করা না হলে সুফল পাওয়া যাবে না। তাই কারিগরি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধের পুরো অংশ এখন ব্লক বসানো হবে। ৩২০ কোটি টাকার বরাদ্দ সংশোধিত করে আরও ২৫৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে এখন ৫৭৭ দশমিক ২৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, চলমান প্রকল্পের আকার বাড়িয়ে সংশোধিত করা হয়েছে। না হলে প্রকল্পের যাচাই-বাছাই করে ডিপিপি তৈরি করতে দুই বছর সময়ক্ষেপণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। অপেক্ষা কাজ শুরুর। আগামী শুকনো মওসুমে কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। সাঙ্গু নদীর মোহনা থেকে রায়পুর ইউনিয়নের পারকি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। অবশিষ্ট অংশ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় এখন পুরো উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সুরক্ষা করা হবে। এ কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে আনোয়ারায় আর উপকূলীয় বেড়িবাঁধের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা চাই টেকসই উন্নয়ন। চলমান প্রকল্পগুলোকে ঘিরে আগামীতে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। চলমান প্রকল্পে নতুন সংযোজিত করে প্রকল্পের আকার বাড়ানো হয়েছে।
দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ইতোমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ করা হয়েছে। একনেক সভায় অনুমোদন ও জিও অনুমতি পাওয়া গেছে। এখন কার্যাদেশ দেয়া হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুরক্ষা-প্রকল্প
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ