Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলে ১৭শ মণ্ডপে শারদীয়া দুর্গা পূজা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:২৯ পিএম

আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের তাগিদ
বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় এবার প্রায় ১ হাজার ৭শ মণ্ডপে শারদীয়া দুর্গা পুজার আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীতেই প্রায় ৭৬টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩টি কম। মহানগরীর বাইরে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য জেলাগুলোতে ১ হাজার ৬১৬টি মন্ডপে দূর্গা পুজার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিটি মন্ডপে পুজা নির্বিঘেœ অনুষ্ঠানে পুলিশ বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা মহামারীর এসময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজা আয়োজনে বার বারই তাগিদ দিচ্ছেন প্রতিটি জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও করোনা মহামারীর বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেই সব কিছু আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, আমাদের কোন আনন্দ অনুষ্ঠান যেন বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে বিশষ নজর না দিলে নতুন বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। তাদের মতে, গত দু মাসে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমন যতটা উন্নতি ঘটেছে,তা ধরে রাখতে হলে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনের কোন বিকল্প নেই।
এদিকে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জ থেকে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠানে আইনÑশৃংখলা পরিস্থিতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে প্রতিটি জেলা ও থানা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সব জেলার উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাগন সার্বক্ষনিকভাবে প্রতিটি থানার আইনÑশৃংখলা পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকেও প্রতিটি জেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রতিটি থানার বাইরে জেলার ‘স্পেশাল আর্মড ফোর্স-এসএএফ’ ছাড়াও বরিশাল রেঞ্জ থেকে ‘রিজার্ভ ফোর্স-আরআরএফ’ নিয়োগ করা হবে। বিশেষ বিবেচনা ও প্রয়োজনের নিরিখে ‘আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান-এপিবিএন’ও কাজে লাগান হতে পারে। এছাড়া প্রতিটি পুজা মন্ডপে নিরস্ত্র আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রতিটি জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যদের নজরদারী যোরদার করতেও বলা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল মহানগরীর ৭৬টি পুজা মন্ডপ ও আসেপাশের এলাকার আইনÑশৃংখলা রক্ষায় বিএমপি’র পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। নগরীর প্রতিটি পুজা মন্ডপে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও পর্যাপ্ত নিরস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনের নিরিখে এপিবিএন সদস্যদের নিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
তবে পুজা কমিটি সহ সচেতন নাগরিকদের তরফ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় ইভটিজিং সহ কিশোর অপরাধীদের তৎপড়তা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। পুলিশের একাধীক দায়িত্বশীল সূত্র ‘যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে’ বলা জানান হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ