Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নীলফামারীতে নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ

ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নীলফামারী সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৪টি নদী ও ১টি খাল ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০ কিলোমিটার খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলার খরখরিয়া, জমুনেশ্বরী, চিকলী, ধাইজান ও চারালকাটা নদী খনন করা হলেও পাড়ে গাছ ও ঘাস না লাগায় ৩ মাসের মাথায় ৪৪টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এসব এলাকার মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, বাড়ি, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, এলজিইডির দুটি ব্রিজ রয়েছে হুমকির মুখে। এদিকে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হলেও কাজের কাজ না হওয়ায় ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান, মাজেদা বেগম, আজাহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারাভাবে চারালকাটা নদী খনন করছে। ফলে আমরা এলাকাবাসী খুবই আতঙ্কে আছি। নদী ভাঙনের ফলে বালু ফসলি জমিতে পরে এবারের ধান নষ্ট হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থাকি অনেক দূরত্ব ছিল নদী। ভাঙার কারণে বাড়ির কাছে নদী এসে পড়েছে। ২-৩ বার বাড়ি সরে নিয়েও এবার আর বাঁচার উপায় নেই। এলাকার আম্বিয়া বলেন, নদী ভাঙতে বাড়ির কাছে চলে এসেছে। দুইদিন পর বাড়িও থাকবে না। ঘরে তো এবার ধান চাউলও তুলতে পারিনি।
স্থানীয় মেম্বার মো. জোনাব আলী খাঁন বলেন, ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চারালকাটা নদী দায়সারা খনন করায় এলাকার মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, বাড়ি, রাস্তাঘাট, হুমকির মুখে আছে। এবারে এই নদী ব্যাপকহারে ভাঙতে শুরু করেছে। এই এলাকার আড়াই শত একর জমিতে বালু দিয়ে ভরপুর হয়ে গেছে। নদীর বালু ধান ক্ষেতে পড়ে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এসব বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তারা বলেন, বাজেট আসলে কাজ হবে। তিনি আরও বলেন, এলাকার একটি মাত্র রাস্তা মেরামতের জন্য কোনো বাজেটও পায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রাস্তা মেরামতের জন্য আবেদন করলেও কোনো রকম সাড়া পায়নি।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণকমল চন্দ্র সরকার বলেন, সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীতে খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় ১৩০ কিলোমিটার ৪টি নদী ও খাল খনন করেছি। এসব নদী খনন করায় পার্শবর্তী এলাকার পানিগুলো নদীতে পতিত হচ্ছে। যার কারণে নদীর পানি প্রবাহের ধারা পরিবর্তন হওয়ায় ৪ নদীর ৪৪টি পয়েন্টে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এলাকার লোকজন এর আগে নদী ভাঙনের সম্মুখীন না হওয়ায় একটু আতঙ্কের মধ্যে আছে। নদী ভাঙন রোধকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রকল্প উপস্থাপন করেছি। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে আমরা নদী ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু নদী খননে অনিয়ম ও ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ