দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে ১৭শ’ মন্ডপে দুর্গা পূজা
বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম
বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় এবার প্রায় ১ হাজার ৭শ’ মন্ডপে আজ থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পূজা। তবে করোনা সঙ্কট নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের। এবার বরিশাল মহানগরীতেই প্রায় ৭৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩টি কম। মহানগরীর বাইরে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলাগুলোতে ১ হাজার ৬১৬টি মন্ডপে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিটি মÐপে নির্বিঘেœ পূজা উদযাপনে পুলিশ বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা মহামারীর এসময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও করোনা মহামারীর বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেই সব কিছু আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
পুলিশের বরিশাল রেঞ্জ থেকে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে প্রতিটি জেলা ও থানা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সব জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে প্রতিটি থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেও প্রতিটি জেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রতিটি থানার বাইরে জেলার ‘স্পেশাল আর্মড ফোর্স-এসএএফ’ ছাড়াও বরিশাল রেঞ্জ থেকে ‘রিজার্ভ ফোর্স-আরআরএফ’ নিয়োগ করা হবে। বিশেষ বিবেচনা ও প্রয়োজনে ‘আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন’ও কাজে লাগানো হতে পারে। এছাড়া প্রতিটি মÐপে নিরস্ত্র আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রতিটি জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যদের নজরদারি জোরদার করতেও বলা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল মহানগরীর ৭৬টি মÐপ ও আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর প্রতিটি মÐপে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও পর্যাপ্ত নিরস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে এপিবিএন নিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় ইভটিজিং ও কিশোর অপরাধীদের তৎপড়তা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছে পূজা উদযাপন কমিটি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে পূজা সম্পন্ন ও যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
.jpg)
