Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আড়তদারদের নানামুখি ছলচাতুরীতে দক্ষিনাঞ্চলে পেয়াঁজ গোল আলুর দাম আবার উর্ধমূখী

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ৭:০৪ পিএম

গত দুদিনের আড়তদারদের নানামুখি ছলচাতুরীতে দক্ষিনাঞ্চলে পেয়াঁজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা এবং গোল আলুর দাম ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বুধবার দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেয়াঁজ ৯০ টাকায়ও বিক্রী হয়েছে। আলুর কেজী আবার ৪৫ টাকা।
সরকার সর্বশেষ মঙ্গলবার আলুর সর্বোচ্চ খুচরা দাম ৪০ টাকা বেঁধে দিলেও বুধবার বরিশালের পাইকারী বাজারে তা বিক্রী হয়েছে ৪০ টাকা করে। তবে বেশীরভাগ আড়তদারই কোন ধরনের রসিদ দিতে চায়নি। ফলে খুচরা বাজারে আবারো আলুর দাম ৫০ টাকায় ওঠার আশংকা করছেন ভোক্তাগন। গত সপ্তাহখানেক আড়তে গোল আলু ৩৫টাকা কেজি বিক্রী হলেও মঙ্গলবার দাম বেঁেধ দেয়ার পরেই বাজারে দাম বাড়ানোর প্রবনতা লক্ষ করা যায়। তবে সরবারহে কোন ঘাটতি নেই।
আড়তদারদের দাবী তারা কোল্ড স্টোর থেকেই ৩৫Ñ৩৬ টাকা দরে আলু কিনে পরিবহন ও শ্রমিক মজুরী দেয়ার পরে কোন অববস্থাতেই ৪০ টাকার নিচে গোল আলু বিক্রী করতে পারবেন না। অথচ সরকার সর্বশেষ হীমাগারে প্রতিকেজী গোল আলুর দাম ২৫ টাকার স্থলে ২৭ টাকা নির্ধারন করেছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রী করছেনা হীমাগার মালিকরা।
এদিকে গত দিন পনের যাবত দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারী বাজারে দেশী পেয়াঁজ প্রতিকেজী ৭০ টাকা করে বিক্রী হলেও গোল আলুর হাত ধরে বুধবার সকালেই তার ঝাঁঝ বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে পেয়াঁজের কেজি ৮০ টাকায় উঠে যায়। যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারেও। এদিকে টিসিবি এখনো বরিশাল মহানগররীতে ৫টি পিকআপে করে সর্বমোট ২টন পেয়াঁজ বিক্রী করছে। যা এক কেজি করে দু হাজার মানুষের কাছে বিক্রী করা সম্ভব। এছাড়া কয়েকটি জেলা সদরে ১টি করে পিকআপে পেয়াজ ছাড়াও চিনি, ভোজ্যতেল ও মুসুর ডাল বিক্রী করছে রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটি। গত কিছুদিন ধরেই শুধু ‘বিপুল পরিমান পেয়াঁজ আসার পথে রয়েছে’ বলে টিসিবি’র স্থানীয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন বলে আসছেন। কিন্তু অত্যাশকীয় এ পণ্যের সরবারহ গত এক মাসেও বাড়াতে পারেনি টিসিবি।
তবে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও এখনো গোল আলু বিক্রীর বিষয়ে কিছু জানেন না টিসিবি’র দায়িত্বশীল মহল। বানিজ্য মন্ত্রী ইতোমধ্যে ২৫ টাকা কেজি দরে টিসিবি’র মাধ্যমে গোল আলু বিক্রীর কথা ঘোষনা দিলেও কবে তা বাস্তব রূপ লাভ করবে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
চালের দাম গত এক মাসে কেজি প্রতি ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির পরে আর নামার কোন লক্ষন নেই। ভোজ্য তেলের দামও গত পনের দিনে লিটার প্রতি ৫টাকা বাড়ার পরে তা আর নামেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ