Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চকরিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাসটার্মিনালের পূর্বপার্শ্বে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে একটি জলাশয় ভরাট করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। প্রশাসন রাতদিন ওই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করলেও অজ্ঞাত কারণে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও জলাশয় ভরাট করে যাত্রীবাহি একটি বাস কাউন্টার নির্মাণ করলেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ চকরিয়ার সচেতন জনগণের।
জানা যায়, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদীর দু’পাড়ের অর্ধশত পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বালি উত্তোলনকারী সরঞ্জাম উদ্ধার করলেও প্রভাবশালীরা যে সব স্থান থেকে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে ওইসব এলাকায় প্রশাসনের কোনো অভিযান নেই বলে এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ। মাতামুহুরী নদী ও ছড়া খালের দু’পার্শ্বের এলাকার মধ্যে চকরিয়া উপজেলার বমু-বিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, বিএমচর, কোনাখালী, সাহারবিল, পূর্ব বড়ভেওলা, বদরখালী, চিরিংগা ও চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এখনও প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকায় নদী ও ছড়া খালের উভয় পাশের্^র বেঁড়িবাঁধগুলো বিনষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। ভেঙে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা।
এসব ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন বিভাগ, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে অভিযোগ করলে উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে নিয়ে আসে। কিন্তু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অসংখ্য বালির পয়েন্ট। বিশেষত, চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সীমানাবর্তী এক নাম্বার গাইড বাঁধ এলাকার দিগরপানখালী, পশ্চিম দিগরপানখালী, কোচপাড়া এলাকায় ৩টি পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এসব উত্তোলিত বালি থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না। এসব পয়েন্টের মালিকানা রয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। ফলে প্রশাসন দুর্বল ব্যক্তির পয়েন্টে অভিযান চালালেও ক্ষমতাসীনদের পয়েন্টে ফিরেও থাকাচ্ছে না। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বালু-উত্তোলন

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ