Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করে বিএনপি

আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নিজের নাক কেটে বিএনপির পরের যাত্রা ভঙ্গকরার অপকৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আত্মকেন্দ্রিকতা, অদূরদর্শিতা এবং দোদুলমানতার কারণেই বিএনপির নেতৃত্বের ওপর দলের কর্মীরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, নেতৃত্বের আত্মকেন্দ্রিকতা, অদূরদর্শিতা এবং দোদুলমানতা বিএনপির নেতৃত্বের ওপর কর্মীরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তার প্রমাণ তাদের দেয়া তালিকাভুক্ত এজেন্টরা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসেনা, মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রাখে।

গতকাল সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে সেজন্য তারা ভোট শুরুর কিছুক্ষনের মধ্যে ভোট বর্জনের নাটক করে সড়ে দাঁড়ায়। এ সব অপকৌশল করে ভারাডুবি বুঝতে পেরে আর নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গকরার অপকৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে। এজন্য এজেন্ট দেয়ার লোকাও তারা এখন খুঁজে পায় না। উল্টো দোষ চাপায় এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলছেন। আমি বিএনপিকে তাদের সময়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। সে সময়ে নির্বাচন মানেই ছিল সংঘাত আর প্রাণহানি। স্থানীয় নির্বাচনগুলাতে ঘটেছে অসংখ্য জীবনহানীর ঘটনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন নেই নির্বাচনী সংঘাত। ২/১ টি সংঘাত ছাড়া সারাদেশেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপ-নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের বিষয় নেই তাই জাতীয় নির্বাচনের মত ভোটার উপস্থিতি ঘটে না। অনেকে করোনার কারণেও আসে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত সক্রিয় থেকে ২/১ টি ঘটনা ঘটিয়ে ভোটের দিন নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রয়তা দেখায়। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে তাদের ভোটারও আসে না। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য বিএনপির অপকৌশল কাজ করে। তবুও নওগাঁ এবং পাবনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ভোটার উপস্থিতি ছিল। তারা ঢাকা-৫ এর কথা বলে, কিন্তু মঙ্গলবার সারাদেশে বিভিন্ন্ স্থানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির কথা বলে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সহযোগী সংগঠনগুলোর ঘোষিত কমিটির বিষয়ে যে কোন অভিযোগ- আপত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আইনি কাঠামোর মধ্যে সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটির কোন বিষয়ে অভিযোগ কিংবা আপত্তি থাকলে প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের কাঠামোর আওতায়। অভিযোগ থাকলে নেতা-কর্মীরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ সংক্রান্ত ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ দিতে পারে। ট্রাইবুন্যাল অভিযোগ যাচাই-বাছাই কের নিষ্পত্তি করবে। তাই দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ঘোষিত কমিটির বিষয়ে যে কোন অভিযোগ-আপত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ি আইনী কাঠামোর মধ্যে সুরাহার নির্দেশনা নিয়েছেন। অচিরেই জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন যাচাই বাছাই চলছে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ