Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুর্গাপূজা শুরু আজ মহাসপ্তমী

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দুর্গাদেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ এবং বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা গতকাল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মহাষষ্ঠী পূজা চলাকালে ঢাকের বোল, কাঁসর ঘণ্টা ও শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে দেশের পূজামÐপগুলো। তবে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এবারের আয়োজন ও অংশগ্রহণ সীমিত ছিল।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সকাল থেকে পূজারী ও ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে ষষ্ঠীপূজা শুরু হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার ও পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা মেনে চলতে দেখা গেছে। সকলকে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে মন্দিরে প্রবেশ করানো হয়। সামাজিক দূরত্বের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মÐপ এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আগের দিন থেকেই মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরার সতর্কবার্তা অনুসরণ করা হচ্ছে। এ জন্য পূজার আয়োজনও সঙ্কুচিত করা হয়েছে। নবমী পর্যন্ত সন্ধ্যা আরতির পর মন্দির বন্ধ রাখা হবে। উৎসবের আগে মানুষের জীবনকে গুরুত্ব দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলছে বলে তিনি জানান। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ বছর মা দোলায় চড়ে আগমন করেছেন। গজে চড়ে গমন (প্রস্থান) করবেন। আগামী ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা মুক্তির জন্য আজ শুক্রবার মহাসপ্তমীর দিনে ১২টা ১ মিনিটে মায়ের কাছে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

এর আগে সপ্তমীপূজা শেষে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি স¤প্রচার করবে কয়েকটি টেলিভিশন। একই সময়ে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেসবুক পেজ থেকে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি স¤প্রচার করা হবে। বাড়িতে বসেই মায়ের চরণে অঞ্জলি দেয়ার জন্য ভক্তদের প্রতি আহŸান জানিয়েছে পূজা উদযাপন কমিটি।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণের কারণে এবার উৎসব হচ্ছে না, ধর্মীয় রীতি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্যান্য বছর পূজার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলেও এবার তা হচ্ছে না। মেলা ও আরতি প্রতিযোগিতা বাদ দেয়া হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা হবে না। আগে বিসর্জনের জন্য একটি ট্রাকে একসঙ্গে অনেক মানুষ গেলেও এবার একটি ট্রাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ১০ জন যেতে পারবেন। দিনে দর্শনার্থী থাকলে সন্ধ্যা আরতির পর মÐপ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে।

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী : এদিকে শারদীয় দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তিনি আরো বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু স¤প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মহামারিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের অনুরোধ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্গাপূজা

১৪ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ