Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইতিহাস গড়া স্বর্ণ মারের

প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর শেষ ব্যাকহ্যান্ড শটটা জালে জড়াতেই গাল বেয়ে নেমে আসে অশ্রæ, আনন্দাশ্রæ। হবারই কথা। এই শটটির সাথে সাথেই যে এক অনন্য ইতিহাসের জন্ম দিলেন অ্যান্ডি মারে। এমন কান্না নাকি খুব পছন্দ অ্যান্ডি মারের। এই তো কদিন আগে দ্বিতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতার পর কেঁদেছিলেন। কেঁদেছিলেন তিন বছর আগেও, ঘরের মাটিতে টেনিসের গ্র্যান্ড ¯ø্যামটি প্রথমবার জয়ের পর। আরেকবার কাঁদলেন মারে। তবে এই কান্না একটু ভিন্ন। অন্য গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জয়ের মতো আনন্দ এতেও আছে। শুধু এবারের কান্নার বিশেষত্ব, এতে মিশে আছে অলিম্পিকের ইতিহাস গড়ার গর্বও। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকে টানা দুবার এককের শিরোপা ধরে রাখার গর্ব। যে গর্ব অলিম্পিকের ১২০ বছর ইতিহাসে আর কারও সৌভাগ্যে হয়নি। চার ঘণ্টার মহাকাব্যিক ফাইনালে পোত্রোকে ৭-৫, ৪-৬, ৬-২, ৭-৫ সেটে হারিয়ে রিও অলিম্পিক টেনিসের এককেও স্বর্ণ জিতলেন ব্রিটিশ তারকা। এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকেও সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছিলেন ব্রিটিশ তারকা। স্পেনের তারকা রাফায়েল নাদালকে ৬-২, ৬-৭, ৬-৩ গেমে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন জাপানের কেই নিশিকোরি।
পুরো ম্যাচে মারে এইস মেরেছেন ১০টি, উইনার ৪৬টি। উইনারের হিসেবে অবশ্য দেল পোত্রোও খুব পিছিয়ে ছিলেন না, আর্জেন্টাইন তারকার উইনার ৩৯টি। কিন্তু নিজের পথটাকে নিজেই বন্ধুর করেছেন ৫৭ আনফোর্সড এরর করে। তবে যা করেছেন, তাইবা কম কী! হাতের কবজিতে কয়েকবার অস্ত্রোপচারের পর গত বছরই প্রায় অবসরের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী ও ২০০৯ ইউএস ওপেনজয়ী দেল পোত্রোর র‌্যাঙ্কিংও পিছিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১-এ। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখেছেন এবার অলিম্পিকে। প্রথম রাউন্ডে হারিয়েছেন নোভাক জোকোভিচকে, সেমিফাইনালে তিন ঘণ্টার আরেক মহাকাব্যিক লড়াইয়ে হারিয়েছেন রাফায়েল নাদালকে। কিন্তু আজ আর পারলেন না। ম্যাচের শেষ দিকে এসে ক্লান্তির ছাপটা বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্ট।
এছাড়া অলিম্পিক টেনিসে পাঁচটি সোনা জয়ের রেকর্ড গড়া হলো না যুক্তরাষ্ট্রের ভেনাস উইলিয়ামসের। সাতবারের এই গ্র্যান্ড ¯ø্যাম চ্যাম্পিয়ন ও তার সঙ্গী রাম রাজিবকে হারিয়ে টেনিসের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে জিতেছে স্বদেশি বেথ্যানি ম্যাটেক-স্যান্ডস ও জ্যাক সক জুটি। অল আমেরিকান ফাইনালের প্রথম দুই সেট ৬-৭, ৬-১ গেমে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ১০-৭ গেমে জেতে ম্যাটেক-স্যান্ডস ও সক জুটি। ভারতের সানিয়া মির্জা ও রোহান বোপানাকে ৬-১, ৭-৫ গেমে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে চেক জুটি লুসি হারাদেকা ও রাদেক স্তেপানেক। এদিকে, পাঁচটি গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জয়ী মার্টিনা হিঙ্গিস ও তার সুইস সঙ্গী তিমেয়া বাচসিন্সকিকে ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়ে মেয়েদের দ্বৈতে সোনা জিতেছেন রাশিয়ার একাতেরিনা মাকারোভা ও এলেনা ভেসনিনা। ব্রোঞ্জ জিতেছে চেক প্রজাতন্ত্রের লুসি সাফারোভা ও বারবোরা স্ত্রিসোভা জুটি।



 

Show all comments
  • Shah Alom ২৫ জুন, ২০১৯, ৯:৩৩ পিএম says : 0
    জীবনে যখন বাঁচার মতোন আর কিছুই থাকেনা তখন আর কী করতে পারা যায়? জীবনের সাথে চলতে চলতে আজ আমি নিষময়।জীবনটা কেনো এমন বলতে পারো?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইতিহাস গড়া স্বর্ণ মারের
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ