Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

থাই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না

কমিটি গঠনের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে আইনপ্রণেতারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

কয়েক মাস ধরে চলে আসা রাজতন্ত্রের সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি গড়ে ওঠা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে দুই দিনের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অধিবেশনে অংশ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ও-চা বিরোধীদের পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। গত মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রায়‚ত চান বলেন, আমি সমস্যা ছেড়ে পালিয়ে যাব না। দেশে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছে সেই সময় পদত্যাগ করে আমার দায়িত্বপালন ছেড়ে দেব না।

থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সব সদস্যই দেশটির সামরিক বাহিনীর মনোনীত; প্রায়‚ত চানও দেশটির সাবেক সেনাশাসক। থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র, সংবিধানের সংস্কার ও কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী প্রায়‚তের পদত্যাগের দাবিতে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশটিতে বিরোধীরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এ বিক্ষোভ চলতি মাসে ব্যাপক আকার ধারণ করায় তা নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়।
এদিকে, মাসব্যাপী সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমাপ্তি টানতে করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখছেন থাইল্যান্ডের আইনপ্রণেতারা। দেশটির হাউজ স্পিকার চুয়ান লিপকি জানান, উপপ্রধানমন্ত্রী জুরিন লাকসানাউইজিট একটি প্যানেল গঠনের প্রস্তাব করেছেন। এ বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সরকারবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের দুদিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়। মঙ্গলবার এ অধিবেশন শেষ হয়েছে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ওচার সরকারের পতন ও দেশটির রাজতন্ত্রে সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকেই আন্দোলন চলছে।
২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ওচা ক্ষমতায় আসার পর এটাই থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। ২০১৪ সালে ওচা সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন সময় আন্দোলন-বিক্ষোভ হলেও গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির আদালত একটি রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিলে আন্দোলন গতি পায়।
ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি নামে ওই দলটি ২০১৯ সালের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং সংসদে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পায়। তবে ওই নির্বাচনে বিতর্কিতভাবে জয়ী হয় সেনা নেতৃত্বাধীন সরকার। বিক্ষোভকারীরা ওচার পদত্যাগসহ রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবি তুলেছেন। একই সঙ্গে থাইল্যান্ডের সংবিধানও নতুন করে লেখার দাবি উঠেছে। সূত্র : বøুমবার্গ, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ