Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফিলিপাইনে আঘাত হানছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১০:০০ এএম

বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে। ক্যাটাগরি-৫’র এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘গনি’। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আজ রোববার কাতানদুয়ানেস দ্বীপে এটি আঘাত হানে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। এতে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় গনি’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে ১০ লাখ মানুষকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। এমন খবর প্রকশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় গনি। এতে করে আজ রবিবার ভূমিধসের শঙ্কা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এএফপির খবরে জানা যায়, দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় লুজোন ও কাতানদুয়ানেস দ্বীপে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে।
এক সপ্তাহ আগে ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় মোলাভে আঘাত হানে। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। গ্রাম ও ফসলের খেত প্লাবিত হয়। একই এলাকায় আবার ঘূর্ণিঝড় গোনি আঘাত হেনেছে।
সিভিল ডিফেন্স বিভাগের প্রধান রিকার্ডো জালাদ স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বলেন, বাইকল এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র অ্যালেক্সিস নাজ বলেন, ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার নিচু বস্তি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে। সক্রিয় দুই আগ্নেয়গিরি মায়োন ও টালের দিকেও নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দক্ষিণাঞ্চলের লুজোন এলাকা ও সাউথ চায়না সাগরে ঢোকার পর আজ বিকেলে বা আগামীকাল সোমবার সকালের দিকে গোনি দুর্বল হতে পারে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে হাইয়ানের আঘাতে ৬ হাজার তিনশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গনি তারচেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।
এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শীর্ষ সহযোগী সিনেটর ক্রিস্টোফার গো বলেন, কভিড-১৯ নিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি। এরমধ্যে আরও একটি দুর্যোগ আসছে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিকার্ডো জালাদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আলবে প্রদেশের সাত লাখ ৯৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে স্থানের সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী ম্যানিলা এবং পাশের বুলকান প্রদেশে হোম আইসোলেশনে থাকা প্রায় এক হাজার করোনা রোগীকে হোটেল ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।
ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান আছে। দেশটিতে ৩৮০,৭২৯ জনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭,২২১ জন মারা গেছেন।
কুইজন প্রদেশের ইনফান্তা শহরের মেয়র ফিলিপিনো গ্রেস আমেরিকা ডিজেডবিবি রেডিওকে বলেন, মূল অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী, ভারী যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে, কভিড-১৯ মহামারির কারণে আমাদের পর্যাপ্ত তহবিল নেই।
স্থানীয় কর্মকর্তারা, বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত এবং জেলেদের মাছ শিকারে যেতে নিষিদ্ধ করেছে। একইসঙ্গে এয়ারলাইন্সের ডজনখানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ