Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীতে বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত, হাজারো মানুষ পনিবন্দি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:০৫ পিএম

হঠাৎ করে ভারত থেকে নেমে আসা পানির চাপে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী-কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানির প্রবল চাপে শনিবার রাত ১২টার দিকে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর দৌলতপুর এলাকার মোহাম্মদ উল্যাহর বাড়ির পাশে মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ফুলগাজী বাজারের পশ্চিম অংশে শ্রীপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ফুলগাজী উপজেলা সদরের মূল সড়ক তলিয়ে যায়।

চেয়ারম্যান আরও জানান, পানির চাপে মধ্যরাতে কহুয়া নদীর দৌলতপুর অংশে বাঁধে ভাঙন ধরে। এতে করে উত্তর দৌলতপুর, দৌলতপুর, বৈরাগপুর, সাহাপাড়া, উত্তর বরইয়া গ্রামের বিস্তৃর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢোকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশ’ পরিবার। তলিয়ে গেছে জমির ফসল, রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে কয়েকশ’ পুকুরের মাছ, ডুবে গেছে মুরগি খামার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা তা ঠেকাতে বালির বস্তা তৈরি করে রেখেছিল।

রাত ১২টার দিকে ভাঙন দেখা দিলে পূর্বে প্রস্তুতকৃত ৫০-৬০টি বস্তা ফেলা হয়। কিন্তু পানির তোড় ভাঙন ঠেকাতে পারেনি।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ২৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার সকাল ৬টায় তা বিপদসীমার ১৩.৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টার দিকে পানি কিছুটা কমে ১৩.৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়া অংশে পানি কমে গেলে মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ