Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে সরব আওয়ামী লীগ

দলে নানা মেরুকরণেও মাঠে নেতাকর্মীরা

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে রাজনীতিতে সরব আওয়ামী লীগ। দলে নানা মেরুকরণেও মাঠে সক্রিয় নেতাকর্মীরা। জাতীয় এবং দলীয় কর্মসূচি পালিত হচ্ছে নানা আয়োজনে। সাংগঠনিক কার্যক্রমও চলছে সমান তালে। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি কোণঠাসা। আর এই সুযোগে সর্বত্রই সরকারি দলের একচ্ছত্র দাপট।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। গেল কয়েক বছর নেতাদের ব্যস্ততা ছিলো সরকারকে ঘিরে। অনেকে দলের প্রতি ছিলেন উদাসীন। তবে সে অবস্থা এখন আর নেই। বিশেষ করে দলের গেল জাতীয় কাউন্সিলের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। কেন্দ্রের নির্দেশনায় ক্ষমতার পাশাপাশি দলের কার্যক্রমেও সক্রিয় হয়ে উঠেন নেতারা। করোনাকালেও দলের নেতাকর্মী এবং জনগণের পাশে আছেন তারা।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকালের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়েই চলছে নগর আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ইতোমধ্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারমুক্ত করে মহানগর সভাপতি করার প্রস্তুাবও দিয়েছেন। মহানগরে নতুন কমিটি আসতে পারে সহসা। একে সামনে রেখে চলছে ঘর ঘোছানোর কাজ। সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতিদিনই ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সাংগঠনিক সভা-সমাবেশ করছেন। সিটি মেয়রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই তিনি দলীয় কার্যক্রমে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে।

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে। জেলা-উপজেলা এবং পৌরসভা পর্যায়েও আছে কমিটি। এসব এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমও চলছে। দলের নেতারা মাঠে আছেন। করোনাও মাঠ ছাড়েননি। করোনা জয় করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম। দক্ষিণ জেলা সভাপতি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদও করোনা জয় করেন স্বপরিবারে।
জেলায় আওয়ামী লীগে মেরুকরণ তেমন প্রকট না হলেও মহানগরীতে চিত্র তার উল্টো। মহানগরীর রাজনীতিতে মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের বিপরীতে আ জ ম নাছির উদ্দীনের একটি বলয় আছে। মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেও এই মেরুকরণ প্রকট। মাঝে মধ্যে ছাত্রলীগ ও যুবলীগে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কলহ বিরোধ সংঘাত সহিসংতাও রূপ নেয়। বিশেষ করে কলেজগুলোতে দুই গ্রæপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

তবে নেতারা জানান, এই মেরুকরণে মূল দলের ওপর তেমন প্রভাব নেই। সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক সব কর্মসূচিতে দলের সবাই সক্রিয় আছে। কিছু নেতার মধ্যে কোন কোন বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও রাজনীতিতে তার কোন প্রভাব নেই। দলের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ। চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা মাঠে আছেন। তারা নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় আসছেন। যোগ দিচ্ছেন সরকারি এবং দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে। উন্নয়ন কাজ তদারকি করছেন।

সিটি নির্বাচন স্থগিত থাকলেও নির্বাচনমুখী তৎপরতা থেমে নেই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী মাঠে আছেন। নানা কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিচ্ছেন। দলের নেতারাও তার সাথে আছেন। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ও সংরক্ষিত ১৪টি মহিলা কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থীরাও মাঠে। তারা দলীয় নানা কর্মসূচিতেও শরিক হচ্ছেন।
শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে কলহ বিরোধ থাকলেও নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় আছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ