Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৫৪ ধারার মামলা থেকে অব্যাহতি

বিদেশ ফেরত ২১৯ জন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

বিদেশ থেকে দেশে এসে কারাবন্দি প্রবাসী শ্রমিকদের মুক্তি মিলেছে। ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ২১৯ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে গতকাল উচ্চ আদালতকে জানিয়েছে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম কোর্ট)। এখন থেকে তাদের আর এ মামলায় হাজিরা দিতে হবে না বলে জানানো হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ৮৩ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় চলমান তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেটি আবার শুনানির জন্য ছিল।

ভিয়েতনাম ফেরত রহমান নামের এক প্রবাসীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্টের বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিদেশ ফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে শেষে সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে গ্রেফতার করে তুরাগ থানায় নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনাম এবং দুইজন কাতার ফেরত।

গত ২২ অক্টোবর ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, পরবর্তীতে তাদের জামিন দেয়া হয়। এর মধ্যে ভিয়েতনাম ফেরত রহমান নামের একজন ৫৪ ধারার তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। পরে হাইকোর্ট বিভাগ ওই তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি কার্যক্রম বাতিলে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।

মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১৯ প্রবাসী দেশে ফেরত আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তারা সেসব দেশে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তুরাগ থানায় জিডি করে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার শলা-পরামর্শ করছিলেন। ৪ জুলাই তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্ট শাহিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। পাশাপাশি ঢাকার সিএমএম-এর কাছেও ব্যাখ্যা চান উচ্চ আদালত। এরপর গতকাল এ মামলার শুনানি হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ