Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফাইনালে রোহিতের মুম্বাই

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পুরো আইপিএলেই দাপট দেখিয়েছে চারবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএলের শুরুতে দারুণ খেললেও শেষের দিকে এসে ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। গতপরশু রাতে দুবাইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লিকে ৫৭ রানে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে উঠেছে রোহিত শর্মার মুম্বাই। এদিন হেরে গেলেও ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে দিল্লি। আগামীকাল তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে গতরাতে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হওয়া হায়দরাবাদ কিংবা ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে (রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ম্যাচটি চলছিল)।
ট্রেন্ট বোল্ট-যশপ্রীত বুমরা, দুজন মিলে এবারের আইপিএলে ৪৭ উইকেট নিয়েছেন। দুজনই আছেন সেরা উইকেট শিকারিদের তালিকার শীর্ষ পাঁচে। আইপিএলজুড়ে মুম্বাইয়ের হয়ে নতুন বলটা সামাল দিয়েছেন বোল্ট। ডেথ ওভার ছিল বুমরার দায়িত্বে। এদিন আইপিএল ফাইনালে ওঠার ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা দুজনকেই তুলে দিলেন নতুন বল। ফলাফল, শ‚ন্য রানে তিন উইকেট নেই দিল্লির! পৃথ্বী শ, অজিঙ্কা রাহানে ও ধাওয়ান- তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। বোল্ট-বুমরার অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের সামনে টিকতেই পারেননি এই তিন ব্যাটসম্যান। শ্রেয়াস আইয়ার ক্রিজে এসে ১২ রান যোগ করেন। বুমরা দ্বিতীয় ওভারে এসে তাঁকেও বিদায় করেন। মুম্বাইয়ের ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় দিল্লি। গভীর খাদ থেকে উঠে লড়াই করে দিল্লির জয়ের কোনো সম্ভাবনাই আসলে তখন ছিল না। মার্কাস স্টয়নিস ও অক্ষর প্যাটেল চেষ্টা করেছেন মান রক্ষার রান করতে। স্টয়নিসের ৬৫ ও অক্ষরের ৪২ রানের ইনিংস দুটির কল্যাণে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান তুলতে পারে দিল্লি। মুম্বাই জিতেছে ৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।
এর আগে টসে জিতে যেন চার-ছক্কা মারার প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। রোহিত শর্মা দ্রæত আউট হন। এ ছাড়া যিনিই ক্রিজে এসেছেন, বল বাউন্ডারি ছাড়া করার চেষ্টা করেছেন। পথ দেখিয়েছেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। প্রথম ওভার থেকেই ডি কক-তাÐবের শুরু। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ২৫ বলে ৪০ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হওয়ার আগে তাঁকেই মনে হয়েছে দিল্লির সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। ভালো ব্যাটিং করেছেন স‚র্যকুমার যাদব আর ইশান কিষানও। রোহিতের বিদায়ে এক প্রান্ত ধরে রাখেন স‚র্যকুমারই। টুর্নামেন্টজুড়ে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক স‚র্যকুমার আজও মুম্বাইয়ের ভিত হয়ে খেললেন। ৩৮ বলে ৫১ রানের চোখজুড়ানো ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। রোহিত ও ডি ককের পরপর মুম্বাইয়ের আরেক নেতা পোলার্ডকে আউট করে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দেন অশ্বিন।
কিন্তু ইশান কিষান আর হার্দিক পান্ডিয়া মিলে সেই আশা উড়িয়ে দেন। কিষান ৩০ বলে ৫৫ রান করেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায়। তবু মুম্বাইয়ের রান ১৮০ ছাড়ানো মুশকিল হতো পান্ডিয়া মরুর বুকে ঝড় না তুললে। ক্রিজে এসে মাত্র ১৪ বল খেলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন হার্দিক। তার ইনিংসে কোনো চার ছিল না, ছিল পাঁচটি ছক্কা। পান্ডিয়ার মারমুখী এই ব্যাটিংই মুম্বাইকে নিয়ে যায় ২০০ রানে। এ কারণেই হয়তো বুমরাহ ১৪ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পরও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে পান্ডিয়ার হাতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুম্বাই


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ