Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রেমিট্যান্স প্রবাহে সর্বোচ্চ রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

রেমিট্যান্সের জন্য দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্টেন্সিভ প্রদানসহ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সাম্প্রতিকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে; যা সর্বকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসীরা ৮,৮২৫.৬৪ মিলিয়ন মাকির্ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে। যা ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে পাঠানো রেমিট্যান্সের চেয়ে ৪৩.২৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পযর্ন্ত চার মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ৬,১৬১.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠায়।

পাশাপাশি মাসিক রেমিট্যান্স প্রবাহ জুলাই মাসে ছিল সবোর্চ্চ। এ মাসে প্রবাসীরা দেশে ২,৫৯৮.২১ মিলিয়ন ডলার দেশে পাঠায়।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত অক্টোবর মাসে দেশে ২,১১২.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই অর্থ দেশের ৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে এসেছে। ব্যাংকগুলো হলো অগ্রণী, জনতা, রুপালী, সোনালী, বেসিক ও বিডিবিএল ব্যাংক। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমেও ৩৩.৫৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১.৯২ মিলিয়ন, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৯.৬৮ মিলিয়ন, রুপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৬.৬৩ মিলিয়ন, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৪.২৫ মিলিয়ন ও বেসিক ব্যাংকের মাধ্যমে ০.১১ মিলিয়ন মাকির্ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ ছাড়া বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১,৬০৪.৬৯ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৭৪৮.৫৭ মিলিয়ন ডলার ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৩৮.১৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১.৬০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান মুখপাত্র এম সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশে বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে দুই শতাংশ ইন্টেন্সিভ দেয়াসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় পদক্ষেপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন বৈধ চ্যানেলে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সরকার ২০১৯-২০ জাতীয় বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্টেন্সিভ ঘোষণা করে। এতে বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। সরকার ২০২০-২১ অর্থ বছরেও রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ ইন্টেন্সিভ প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৮,২০৫.০১ মিলিয়ন ডলার। যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে ১০.৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৬,৪১৯. ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ প্রসঙ্গে একজন ব্যাংকার বলেন, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ দিন দিন বাড়ছে। বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স আনতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাংকগুলো কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে প্রক্রিয়া আরো সহজ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এ জন্য এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করছি।

বাংলাদেশ ফোরাম কাতারের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বলেন, সরকার দেশে রেমিট্যান্স বাড়াতে বড় ধরনের ভ‚মিকা রাখছে। বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে সরকার ২০১৯ সালে ২ শতাংশ ইন্টেন্সিভ ঘোষণা করে। সরকারের এই ঘোষণায় প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হয় এবং তারা এখন ইন্টেন্সিভের জন্য বৈধ চ্যানেলেই দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেমিট্যান্স

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ