Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যমুনার ভাঙন যেন থামছেই না

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনের তান্ডব থামছেই না। এতে নদী পাড়ের বহু পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে এনায়েতপুর থেকে দক্ষিণে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনের তান্ডব চলছে। কয়েক সপ্তাহে ২ শতাধিক ঘরবাড়িসহ জায়গা জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, বন্যার পানি কমতে থাকায় যমুনার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুড়তলা, ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, বাঐখোলা ও কুঠিরপাড়া। ইতোমধ্যেই এসব গ্রামের ৬০/৬৫ শতাংশ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৩ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এসব ভাঙন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলায় এই ভাঙন কিছুটা হ্রাস পেলেও যমুনায় পানি কমতে থাকায় এই ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভাঙনে এরই মধ্যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুটি মসজিদ, দুটি ঈদগাহ মাঠ, ১২০ তাঁত কারখানা, ৪ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, একটি কবরস্থান, একটি শ্মশান ঘাট, একটি মন্দির ও বহু গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙনের প্রভাব বাড়ছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই ঘরবাড়িসহ এসব গ্রাম যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে।
ভাঙ্গন বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বলছেন, ভাঙন রোধে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে হাটপাচিল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী ও তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং কাজিপুরের ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের সরকার অর্থ অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ৭ হাজার ৪’শ ৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ