মাদ্রাসার উন্নয়নে সব সময় কাজ করে যাব- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসার উন্নয়নে
আসামি মোসাদ্দেক সিকদারকে না পেয়ে ছোট ভাই মামুন শিকদারকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ৮ দিন ধরে কারাবাস করছেন ছোট ভাই মামুন শিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদীর অর্জুনচর গ্রাম।
গত ৪ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালতে চালান দিলে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামুন চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের অর্জুনচর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে শিকদার ডেন্টাল কেয়ারের মালিক। যে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই মামলার প্রকৃত আসামি তার ভাই লিবিয়া প্রবাসী মোসাদ্দেক শিকদার। সে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত লিবিয়ায় প্রবাসী যাপন করছেন। মামুনের পিতা আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ফরিদপুর জেলার আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি লিবিয়ায় তার ভাতিজাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মনোহরদী উপজেলার অর্জুনচর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের বড় ছেলে লিবিয়া প্রবাসী মোসাদ্দেককে আসামি করা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মনোহরদী থানার এএসআই আব্দুল আহাদ ৪ নভেম্বর অর্জুনচর গ্রামে গিয়ে মোসাদ্দেক সিকদারকে খোঁজতে থাকেন।
এ সময় বাড়ির লোকজন জানায় যে মোসাদ্দেক সিকদার লিবিয়ায় চাকরি করেন। এরপরও পুলিশ মোসাদ্দেকের পরিবর্তে তার ভাই মামুন শিকদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার জামিনের জন্য চন্দনবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরণ প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। স্বজনরা জানান, গ্রেফতারের পর থেকেই পুলিশ তার জামিন করিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পুলিশ মামুন শিকদারের জামিনের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা। তার পিতা আবু বকর সিদ্দিক মামুন শিকদারের জামিনের জন্য ফরিদপুরের আদালত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।