Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুতির মাস্কেই মরবে ৯৯ শতাংশ ভাইরাস

| প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেখতে দেখতে ২০২০ শেষ হয়ে নতুন বছরের অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। তারপরও মরণ ব্যাধি করোনাভাইরাস থেমে নেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন পুরো বিশ্বে চলছে।
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে দিনরাত এক করে আলোচনা-গবেষণা করে চলেছেন বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা। তবুও এতগুলো মাস পরেও পাওয়া যায়নি সেভাবে নিশ্চিত কোনও সদুত্তর। করোনা রোধে নিশ্চিত করে তেমন আশার আলো দেখাতে পারছে না পৃথিবীর কোনও দেশই।
তবে এতকিছুর মাঝে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং করোনার মতো অদৃশ্য জীবাণুদের মারতে সুতির মাস্ক বেশ ভালো কাজে দেবে বলে দাবি করলেন একদল বিজ্ঞানী। জার্নাল এসিএস অ্যাপ্লাইড মেটেরিয়ালস এবং ইন্টারফেসে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, নতুন সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি করা মাস্কগুলো করোনার মতো ক্ষতিকর জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়, গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, সূর্যের আলোতে এই মাস্কগুলো ঘণ্টায় ৯৯.৯ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে বিনাশ করতে পারে। গবেষকদের মতে, অন্যান্য মাস্কে তুলনায় এই সুতির মাস্কগুলো প্রতিবার ব্যবহারের পর ধোয়া যেতে পারে। ১০ বার ধুলেও এই মাস্ক নষ্ট হয় না।
বর্তমানে অন্যসব মাস্কের তুলনায় এই সুতির রঙ বেরঙের মাস্কগুলো বেশ জনপ্রিয় সকলের কাছে। এছাড়াও পুরো মুখ-নাক সুন্দর ভাবে ঢাকা থাকায় বাইরে বের হলে বা কথা বলার সময় যেকোনও ক্ষতিকর ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে। যা অন্যান্য মাস্কে নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন সুতির কাপড়ের উপকরণ দিয়ে তৈরি মাস্কগুলো ন্যানোস্কেল অ্যারোসোল কণাকে ফিল্টার করতে পারে। যেমন কাশি বা হাঁচির থেকে মুক্তি দেওয়া। মারাত্মক কোভিড-১৯ সহ রোগের অন্যান্য রোগের বিস্তার কমাতে সহায়তা করে এই ধরনের মাস্কগুলো।
এই বিষয়ে গবেষণায় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিস এর গবেষকরা একটি নতুন সুতির মাস্ক তৈরি করেছেন এবং সেটি কতটা ভাইরাস মারতে সক্ষম তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষকরা দেখিয়েছেন, সুতির মাস্ক পড়ে বাইরে বের হলে তা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট নিরাপদ এবং এটি ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
শুধু তাই নয়, সুতির মাস্ক ব্যবহারকারী কোনও ব্যক্তি তার মাস্কটি ব্যবহারের পর সেটি রোদে মেলে রাখলে জীবাণুকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। গবেষকরা সাধারণ সুতির সাথে ২-ডাইথাইলেমিনোয়েথিল ক্লোরাইড এর চেইন সংযুক্ত করে তাদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কাপড় তৈরি করেছিলেন। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, বিজনেস ইনসাইডার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ