Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জাবিসাসের

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১:১০ পিএম

তথ্য প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগান্তরের প্রতিনিধি ও রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাস) কর্মরত সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছে।

রবিবার সকালে জাবিসাসের দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক রুদ্র আজাদ সাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে সাংবাদিক সমিতির পক্ষে এক যৌথ বিবৃতি সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জন্য তরুন প্রতিভাবান সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানো কারণে আমরা মর্মাহত। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার অর্ধশত বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কারাবরণ করতে হলো। যার মাধ্যমে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। তার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই আমরা।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা আশংকা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এভাবে হামলা-মামলার শিকার হলে ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকতার পথ আরো সংকুচিত হয়ে যাবে। কাজের পরিবেশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি একই সাথে মুক্ত সাংবাদিকতায় বাধা গ্রস্থ করা এই কালো আইন ও গ্রেফতার মানিক রাইহান বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। সেই সাথে মামলায় অভিযুক্ত সকল সাংবাদিকের অবিলম্বে অব্যহতির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে। পরে ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ