Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ, পরবর্তী দিন রোববার

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ৪:২৫ পিএম

সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ১০ম সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এই জবানবন্দী প্রদান করেন। বিচারক হুমায়ুন কবীর জবানবন্দী নিয়ে আগামী রোববার মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. আব্দুল লতিফ জানান, আলোচিত এই মামলার আজ ছিলো ১২২তম কার্য দিন। ১০ম সাক্ষী হিসেবে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে, মামলার বিচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ ও বিলম্ব করতে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা না করে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ধার্য দিনে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদী মোসলেম উদ্দীনের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করলেও আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তার জেরা করেননি। আসামী পক্ষ এদিন আদালতকে জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানির দিন ধার্য থাকায় তারা সাক্ষীর জেরা করবেন না।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাশবিক নির্যাতনের শিকার মুক্তিযোদ্ধা পত্নী মাহফুজা বেগমকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকালে সাতক্ষীরা আসেন, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামের ওই নারীকে দেখে সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে সকাল ১১ টায় কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা চালায় তৎকালিন ক্ষমতাসিন বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে। সেদিন অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এঘটনায় গাড়ী বহরে থাকা ১৫/২০ টি গাড়ী ভাংচুর করা হয়। আহত হন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
এসব ঘটনায় তৎকালিন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্ত ক্ষমতাসিন বিএনপির প্রভাবে থানায় মামলাটি রেকর্ড করেনি পুলিশ।
দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দিলে পুলিশ মামলাটি আমলে নেয়। এরপর তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নামে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা, বিষ্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি ভাগে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ