Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাবর আজমের মুগ্ধতায় পিএসএল শিরোপা করাচির

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৫০ এএম

দুই দলের সামনেই ছিল প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লিগের শিরোপা জেতার হাতছানি। এছাড়া করাচি ও লাহোরের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় জমজমাট এক ফাইনাল ম্যাচের আশায়ই ছিলেন সবাই। কিন্তু ধীরগতির উইকেটে খেলা হওয়ার কারণে উবে গেল সকল উত্তেজনা।

আবারো ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন বাবর আজম। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে খেললেন ৪৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত ইনিংস। সুবাদে লাহোর কালান্দার্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে বলতে গেলে হেসে খেলেই জিতল করাচি কিংস।

৫ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের করা করাচির এটি প্রথম পিএসএল শিরোপা। প্রথমবার ফাইনালে উঠে এসেই বাজিমাত করল দলটি।

আগের চার আসরে দুইবার শিরোপা জেতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড (২০১৬ ও ২০১৮)। একবার করে শিরোপা জেতে পেশোয়ার জালমি (২০১৭) ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর (২০১৯)।

প্রথম শিরোপার হাতছানি ছিল লাহোরের সামনেও। এই দলে ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের চাওয়া ছিল তামিমের হাতে উঠুক শিরোপা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি।

এর দায় অবশ্যই লাহোর ব্যাটারদের। কারণ স্কোর বোর্ডে টি-টোয়েন্টিতে লড়ার মতো পুঁজি তারা গড়তে পারেনি। আবার বলা যায়, কৃতিত্ব করাচি বোলারদের।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি তামিমদের লাহোর। জবাবে ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় করাচি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাবর আজম দারুণ শুরু এনে দেন দলকে। শারজিল খানকে নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন। শারজিল অবশ্য ১৩ রানে ফিরে যান। অ্যালেক্স হেলস ফেরেন ব্যক্তিগত ১১ রানে। তাতে ৬.৫ ওভারে ৪৯ রানে ২ উইকেট হারায় করাচি।

তৃতীয় উইকেটে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে বাবর নিজেদের কাজটা সহজ করে ফেলেন। দুজন যোগ করেন ৬১ রান। ২৭ বলে ২২ রান করে ফিরে যান ওয়ালটন।

১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে ইফতিখার আহমেদ (৪) ও রাদারফোর্ডকে (০) তুলে নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা ফেরান হারিস রউফ। তবে বাবরের নির্ভার ব্যাট করাচিকে লক্ষ্যচ্যুত হতে দেয়নি। তার সঙ্গে ইমাদ ওয়াসিম ৭ বলে ২ চারে অপরাজিত ১০ রান করেন।

এর আগে লাহোরের পক্ষে সর্বোচ্চ রানটা বাংলাদেশের তামিমের। ৩৮ বলে ৩৫ রান করেছেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন তামিম। দুজনের কেউই আসলে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও দুজন তুলতে পারেন ৬৮ রান।

১১তম ওভারে তামিম এবং ফখর দুজনেরই বিদায় উমাইদ আসিফের বলে। ফখর ২৪ বলে ৪ চারে ২৭ রান করেন।

এই দুই ওপেনার বিদায়ের পর অন্যদের ব্যাটও ঠিকঠাক জ্বলে উঠেনি। অধিনায়ক সোহেল আখতার ১৪ বলে ১৪, ডেভিড উইসে ১৪ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি শেষ দিকে ৪ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় করেন অপরাজিত ১২ রান।

তাতে করে টেনেটুনে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানের রানের পুঁজি পায় লাহোর। অতিরিক্ত খাত থেকে ১৪ রান না এলে স্কোর আরো কম হতে পারতো।

করাচির পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওয়াকাস মাকসুদ, আরশাদ ইকবাল ও উমাইদ আসিফ।

ম্যাচসেরা হয়েছেন বাবর আজম। টুর্নামেন্ট সেরাও তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ