Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঠান্ডা মাথায় ১১ বছর ধরে আফগানদের হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

দীর্ঘদিন পর সত্য সামনে এলো। নিরপরাধ আফগান নাগরিকদের হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সেনারা। অস্ট্রেলিয়ার এলিট আর্মির আফগান ফাইলে রয়েছে এমন ৩৯টি ঘটনার তথ্য। যুদ্ধে নয়, ঠান্ডা মাথায় সাধারণ আফগান এবং যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার এলিট আর্মি। স¤প্রতি সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সেনা। দেশটির সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার জন্য তারা অত্যন্ত দুঃখিত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীরা শাস্তি পাবেন। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার সেনা আফগানিস্তানে গিয়েছিল। ন্যাটো বাহিনীর হয়ে আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন লড়াই করেছে তারা। যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, ২০০৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সেই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে সেনাবাহিনী স‚ত্রে জানানো হয়েছে। বস্তুত, ঘটনাগুলো কোনোদিন জনসমক্ষে আসতোই না। বছরকয়েক আগে অস্ট্রেলিয়া সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে কিছু ফাইল ফাঁস হয়ে যায়। আফগান ফাইল নামে সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে তার তথ্য। তাতেই দেখা যায়, সাধারণ মানুষের উপর কী ভাবে অত্যাচার চালিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এলিট ফোর্সের কিছু সেনা। তারপরেই তদন্ত শুরু হয় এবং সত্য প্রকাশ্যে আসে। অস্ট্রেলিয়া এলিট আর্মির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জেনারেল অ্যাঙ্গুস ক্যাম্পবেল জানিয়েছেন, অন্তত ৩৯ জন সাধারণ আফগানকে হত্যা করেছিল সেনাবাহিনী। নিহতদের কেউ সাধারণ চাষী, কেউ শিক্ষক। যুদ্ধের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই ছিল না। অস্ট্রেলিয়া পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল এই ঘটনার তদন্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত লাগাতার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সেনা। ক্যাম্পবেল জানিয়েছেন, এত বড় নীতিহীনতার অভিযোগ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সেনার বিরুদ্ধে ওঠেনি। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। তদন্তে জানা গেছে, দোষী সেনা অফিসাররা একাধিক যুদ্ধবন্দির উপরেও অত্যাচার চালিয়েছে। বন্দিদের উপর অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করে ভ‚য়া রিপোর্ট লেখা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তিদের। যুদ্ধক্ষেত্রই নয়, এমন বহু জায়গায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে। ডয়চে ভেলে, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ