পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুতি; দুর্যোগ মোকাবিলায় আনবে গতি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল থেকে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০ শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ আরো ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল ২০৪টি, সরকার নতুন করে আরো ২৩২টি ফায়ার স্টেশন তৈরি করেছে। বর্তমানে ৪৩৬টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ আরো ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু করা হবে। এ নিয়ে মোট ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টিতে। এছাড়া আরো ১১টি আধুনিক মডেল ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর শিল্পঘন এলাকায় এবং রূপপুর পাবনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় আধুনিক মডেল ফায়ার স্টেশন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো ১৫৫টি ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে তখন এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৭২০টিতে। ফায়ার সার্ভিসের জনবল বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফায়ার সার্ভিসের জনবল ছিল ৬ হাজার ১৭৫ জন। বর্তমানে মোট জনবলের সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। এই জনবল ২৫ হাজারের অধিক করার জন্য অর্গানোগ্রামের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি চালু হলে আমাদের কর্মীদের দেশেই উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকেও লোকজন এসে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে, এখানে সেই ক্যাপাসিটি থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একসময় ফায়ার সার্ভিসের নয়তলা পর্যন্ত অগ্নি নির্বাপণের সক্ষমতা ছিল। বর্তমানে সেই সক্ষমতা ২০ তলা পর্যন্ত, আগামী বছর ২২তলা পর্যন্ত সক্ষমতা অর্জন করবে। আগে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ গাড়ি ছিল পাঁচটি, এখন সেই গাড়ির সংখ্যা ১০৮টি। প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে পর্যায়ক্রমে অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, সড়কে বা নদীতে যেখানেই দুর্ঘটনা দেখেছি সেখানেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেবা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি এই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়বে।
উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামীকাল ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই সপ্তাহ উদযাপিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।