মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। গত সপ্তাহের শুরুতে তার দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তখন থেকেই তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন।
ট্রাম্প জুনিয়রোর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সব পরামর্শ অনুসরণ করে চলছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সন্তানদের মধ্যে দ্বিতীয়জন হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর আগে গত মাসে করোনায় আক্রান্ত হন তার ছোটভাই ব্যারোন ট্রাম্প (১৪)। তবে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বড় ভ‚মিকা পালন করেছেন ট্রাম্প জুনিয়র। তার পার্টনার ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপিকা কিমবারলি গাইলফোয়লে’রও করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল জুলাইয়ে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ট্রাম্প জুনিয়র ওই সময় সংক্রমিত হননি। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী অ্যানড্রু গিলিয়ানি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত। অ্যানড্রু গিলিয়ানি টুইটে বলেছেন, তার মধ্যে হাল্কা লক্ষণ দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে।
সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজের কমপক্ষে চারজন সহযোগী বা সহকারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নভেম্বরের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হন হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডো।
উল্লেখ্য, অক্টোবরে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই সময়ে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে সমালোচনা করেন ট্রাম্প জুনিয়র। যে সংখ্যায় মানুষ মারা যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তার দাবি এতো মানুষ মারা যায়নি। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি যুক্তি দেখান, মিডিয়া এসব খবরকে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট অনুযায়ী, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন কমপক্ষে দুই লাখ ৫৩ হাজার। শুধু গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯২ হাজার মানুষ। সূত্র : সিএনএন, বিবিসি নিউজ।