বিদায়ের আগে বাইডেনের ডানা ছাঁটার চেষ্টা পম্পেওর

মুখ বুজে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে রাজী হননি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট‘
ইথিওপিয়া থেকে শতাব্দীর ২য় বৃহত্তম শরণার্থী স্রোত এখন সুদানমুখী।গল্পটি মিলে যায় রোহিঙ্গা ইস্যুর সাথে।রোহিঙ্গা সঙ্কটের পর আরেকটি বড় শরণার্থী সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। ইথিওপিয়া থেকে এবার প্রায় ২ লাখ শরণার্থী যাচ্ছেন সুদান অভিমুখে। একই সঙ্গে শরণার্থী সঙ্কটে পড়তে পারে ইরিত্রিয়াও। এসব শরণার্থীর কারণে ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশগুলোতে দেখা দিতে পারে বড় ধরণের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা। -সিএনএন, এনপিআর
৯ নভেম্বর ৫৫ বছর বয়সী ৬ সন্তানের মা ওয়েব বারির ঘুম ভাঙে বন্দুক ও গোলার আওয়াজে। এরপর কিছু পুরুষ তার ঘরের দরজা ধাক্কাতে থাকে। টিগরে অঞ্চলের মাই-কারদার এই অধিবাসী বুঝতে পারেন এই এলাকা তাদের জন্য নিরাপদ নয়। তিনি জানান, চোখের সামনে তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুদের জবাই হতে দেখেছেন। ওয়েব পালিয়ে সুদানে আশ্রয় নেন। তবে হারিয়ে ফেলেন স্বামী আর দুই সন্তানকে। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নির্যাতনকে শুরুতে জাতিগত নিধন আর পরে গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়। এখনও ইথিওপিয়ার ঘটনাকে এ ধরনের কিছু না বলা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিগরে অঞ্চলে গণহত্যার যথেষ্ট আলামত রয়েছে। শরণার্থী হতে যাওয়া এসব মানুষের সাক্ষাতকার নেয়া হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলেও অভিমত তাদের।
কেউ কেউ বলছেন, ইথিওপিয়ার গল্পটি মিলে যায় ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সঙ্গে। সেবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তাণ্ডবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তখন দেশটির ক্ষমতায় ছিলো শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির দল। আর বর্তমানে ইথিওপিয়ার ক্ষমতায় আছেন আরেক নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আবি আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।