Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কনকনে হাওয়ায় শীত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ কাটলে মেঘ-বৃষ্টির আভাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আকাশ অনেকটা মেঘমুক্ত পরিষ্কার। বাতাসে জলীয়বাষ্পও খুব কম। এ অবস্থায় উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিমেল হাওয়ার জোর বাড়লো। গতকাল সন্ধ্যা নামতে না নামতেই দেশের বেশিরভাগ জেলায় কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ভর করে শীতের কাঁপুনি বেড়েই চলে। একদিনের ব্যবধানে রাত ও ভোরের তাপমাত্রা স্থানভেদে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায়। সেখানের তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৩ ডিগ্রিতে। তেঁতুলিয়ায় ১০.৫ ডিগ্রি। রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি। দেশের অধিকাংশ স্থানে রাতের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে যায়। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হতেই শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আজও তাপমাত্রা প্রায় একই অবস্থায় থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে বাংলাদেশের উপক‚ল থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গতকাল ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে অতি দূরবর্তী অবস্থানের কারণে এই নিম্নচাপে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় তেমন প্রভাব এখনই নেই। দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহে সতর্ক সঙ্কেতও নেই। নিম্নচাপটির গতিমুখ দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র উপক‚লের দিকে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এটি আরও ঘনীভূত ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নামকরণ হবে ‘নিভার’। এটি বাংলাদেশের উপক‚লের দিকে আসার শঙ্কা নেই তেমন। তবে নিম্নচাপ কিংবা সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে ও কেটে গেলে দেশে আবারও অকাল মেঘ-বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে বিশেষত উপক‚লীয় অঞ্চলে গুমোট আবহাওয়ার সাথে থেমে থেমে এখানে-সেখানে বিক্ষিপ্ত হালকা কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরতে পারে দুই দিন পর্যন্ত। মেঘ-বৃষ্টি কেটে গেলে আগেভাগেই উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
গতকাল ঢাকাসহ অনেক জেলায় দিনের তাপমাত্রাও কমে যায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও ছিল ২৬ ডিগ্রি। আর দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশের আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। বিভিন্ন অঞ্চলে শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও দেশের অন্যত্র তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে খানিকটা। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভ‚ত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম ,কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য সাবধানতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গোপসাগর

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ