গ্রেফতার হয়নি কাজের মেয়ে কিছুটা সুস্থ গৃহকত্রী
গৃহকত্রীকে নির্মম নির্যাতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালানো গৃহকর্মী রেখা বারবার নিজের অবস্থান পাল্টাচ্ছে। ঘটনার পর মালিবাগেই অবস্থান করে সে। তারপর যায় ডেমরায়।
অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুর্র্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার কমিশন তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদন করেছেন। যেকোনো দিন এটি চার্জশিট আকারে দাখিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালেদ মাহমুদ ভ‚ইয়ার নামে ‘মাই ব্যাংক ইসলামিক বারহাদ, মালয়েশিয়া’য় ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাকাউন্ট খোলেন (নং-১৬৪৪৯০৪৫৮০৫৩)। এ অ্যাকাউন্টে ১০,৯৭,৬৯২.৪৭ রিঙ্গিত জমা হয় যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এ অর্থ তিনি বিদেশ পাচার করেছেন। এ ছাড়া খালেদ মাহমুদ ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। মামলাটির তদন্ত করেন উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গত ২১ অক্টোবর মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে দুর্র্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এর আগে গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেফতার হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২২টি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল এতে নেতৃত্ব দেন। ৭ সদস্যের ওই টিমের অপর সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।