Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শীত আসার আগেই গরম কাপড়ের কদর বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড ঠান্ডা। তবে রাজধানী ঢাকায় শীত এখনো জেঁকে বসেনি। দিনের বেলা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে শীতের আবহ বেশ আঁচ করা যায়। যদিও রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও পেরে ওঠেনি শীত। তবে এরই মধ্যে রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের।
দাম, মান আর দোকান ভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে বেøজার, ছোটদের গরম কাপরের সেট, টুপিসহ আরও অনেক পোশাক। গতকাল মতিঝিল, গুলিস্তান, ফার্ম গেইট, জিপিও ঘুরে এচিত্র দেখা গেছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, ইতোমধ্যেই শীতের কাপড় বিক্রি বেড়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায় বড় দোকানগুলোতে এসেছে ফুল হাতা টি-শার্ট, হুডি, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাপড়ের তৈরি জুতা, ঘরে পরার উলের জুতা ও কম্বল। এসব পোশাকের দামও রয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে।
রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর এসব এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম হচ্ছে ফুটপাতে। ফুটপাতে ছোটদের পোশাকের চাহিদাই বেশি চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বড়দের পোশাকও।
ফুটপাতে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের গরম পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, মাফলার ও নতুন ডিজাইনের কানটুপি। এসব পোশাক মৌচাক, মালিবাগ, গুলস্থান এলাকার দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।
ছেলেদের পোশাকের মধ্যে এসব বাজারে রয়েছে গেঞ্জি বা ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে তৈরি হুডি, ফুল হাতা টি-শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, মিক্স স্টাইলের সোয়েটার আর বেøজার। এছাড়া বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের কম্বল। নানা ডিজাইনের এসব কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে এক্সপোর্ট কম্বলের দাম চাওয়া হচ্ছে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। কম্বলের দোকানে ক্রেতার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কম্বলের দাম বেশি বলছেন বিক্রেতারা।
মৌচাক এলাকার ক্রেতা মোছা. হামিদা আজাদ বলেন, শীত ভালোভাবে না আসায় এখন পর্যন্ত গরম কাপড়ের দাম কম আছে। এ সুযোগটি কাজে লাগাতেই মার্কেটে আসা। বেশকিছু কপড় কেনা হয়েছে। মতিঝিল ফুটপাতের বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, আমাদের এখানে গরম কাপেড়ের বিক্রি আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছোটদের কাপড়। এখন দাম বাড়তে শুরু করেছে। শীত বেশি হলে কাপড়ের দাম আরও বেড়ে যাবে।
পল্টন এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ী আলী আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও গরম কাপড়ের ব্যবসা করছি। তবে ফুটপাতে জায়গার স্বল্পতা আর সিটি করপোরেশনের বাঁধার কারণে ব্যবসা জমাতে পারছি না। এখন পর্যন্ত বিক্রি বেশ ভালো। ছোটদের পোশাকের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় এখন কম্বল বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এক্সপোর্ট কোয়ালিটির দাম বেশি পড়লেও অন্য বছরের তুলনায় দাম অনেক কম। শীত বেশি হলে আরও দাম বাড়বে। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীত

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ