Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে শীত

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুরে শীত জেঁকে বসেছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশা শিশিরের মত পড়ছে। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়েছে। তবে এবার গ্রামাঞ্চলের চিত্র ভিন্ন। ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের হাতে টাকা থাকায় তারা শীতকে মোকাবিলা করছে হাসিমুখেই। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় ক্রয়ে সকাল হলেই ছুটছে শহরের দিকে। ভ‚মিহীন কৃষকেরাও পাচ্ছে ন্যায্য মজুরী।
অবশ্য শীত দীর্ঘায়িত হলে ভ‚মিহীন কৃষকেরা বেকায়দায় পড়বে। কারণ তখন তাদের কাজ না থাকায় হাতে টাকা থাকবে না। এজন্য সরকারীভাবে আগাম প্রস্তুতি থাকলে কৃষকদের শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। সাধারণত শীত পড়ার আগে বৃষ্টি হয়ে থাকে। যাকে স্থানীয়ভােেব শীতের আগমনী বার্তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার শীতের আগমনী এখনও সেই বৃষ্টি হয়নি। তারপরও হঠাৎ করেই শীত জেকে বসেছে।
এদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এবার শীত বেশী হবে এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আগেই গরম কাপড় কিনতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। রয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা। ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেন আগেই সংগ্রহ করে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় গতকাল রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কুয়াশা কমলেই তাপমাত্রা কমে আসবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এবার শীত যেন একটু আগে ভাগেই চলে এসেছে। অগ্রহায়ণের শুরুতে এমন কুয়াশা বা শীত আগে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা অন্ধকারে পরিণত হচ্ছে। কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। ভোর বেলা লাল আভা নিয়ে ভেসে উঠা সূর্য যেন মুখ মেলে তাকাতে পারছে না। গাড়ীর হেড লাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা না যাওয়ার দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে চলেছে। ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে মাঠে কাজ করা মানুষদের অবস্থা কাহিল। কিন্তু কাজ করতেই হবে। তাই গরম কাপড় মুড়িয়ে বের হতে হচ্ছে। অনেকেই কাজে হাত দেয়ার আগে খড়-কুটো জড়িয়ে আগুন দিয়ে তাতে শরীর গরম করে নেয়ার চেষ্টা করছে।
জেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যেই কম্বলসহ গরম কাপড়ের চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। প্রশাসনও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। কেননা শীতে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তাই শীত এবং করোনার হাত থেকে নিম্নবিত্তদের রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে বড় বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিত্তশালীদের অংশগ্রহণ জরুরী বলে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা মত প্রকাশ করেছে।

হঠাৎ এই শীতে সাধারণ মানুষ যেন অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে। একদিকে করোনার থাবায় অর্থনৈতিক সঙ্কট তার উপর প্রচন্ড শীত। শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষকের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। একই সাথে গরু-ছাগলসহ জীব-জন্তুদেরও কাহিল অবস্থা। কৃষকেরা চেষ্টা করছে তাদের গরু-ছাগলকে চটের তৈরী জামা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে। শীত বাড়ার সাথে পিঠার কদর বেড়ে গেছে। সকাল সন্ধা ভাপা-চিতইসহ হরেক রকম পিঠার পসরা নিয়ে বসছে নারী ও পুরুষেরা। উনুনের তাপ নেয়ার পাশাপাশি পিঠাও খাওয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘন কুয়াশা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
২৮ নভেম্বর, ২০২১
২৫ জানুয়ারি, ২০২১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ