Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পলি অপসারণে বাধা পলিথিন-প্লাস্টিক

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

পরিবেশগত সমস্যায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদীবন্দরের নাব্যতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। কির্তনখোলা নদীতে নৌবন্দরের মূল বেসিনসহ আশপাশের এলাকায় পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতলের আস্তরণ ভেদ করে পলি অপসারণ দূরহ হয়ে পড়েছে।
প্রতিনিয়ত এসব পলিথিন আর প্লাস্টিকের বর্জ্য ড্রেজারের কাটার ও সাকশন পাইপে আটকে গিয়ে ড্রেজিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করে বন্দরের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও বিলম্বিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিআইডবিøউটিএর পাশাপাশি বন্দর ব্যবহারকারীরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আসন্ন শুষ্ক মৌসুমের আগেই পলি অপসারণ করে নাব্যতা উন্নয়ন করতে না পারলে এ নদী বন্দরের পরিচালন ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বিগত বছরগুলোর মত গত সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল বন্দরের নাব্যতা সঙ্কট শুরু হয়। বন্দরের নৌ টার্মিনালের মূল বেসিনে নাব্যতা ৮ ফুটের নিচে নেমে আসায় বিআইডব্লিউটিএ জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজার নিয়োগের মাধ্যমে পলি অপসারণ শুরু করে। প্রায় দেড়লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌ টার্মিনালের সামনের মূল বেসিনের প্রাথমিক স্তরের পলি অপসারণ করে একতলা লঞ্চ ঘাটের সামনে ড্রেজিং করছে। কিন্তু পুরো টার্মিনালের সামনে কির্তনখোলা নদীর তলদেশে পলিব্যাগ আর প্লাস্টিকের বোতলের আস্তরণ ভেদ করে পলি অপসারণ করতে গিয়ে ড্রেজার পর্যন্ত বিকল হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, প্রতিদিনই গড়ে ৫-৭ বার পর্যন্ত ড্রেজার বন্ধ করে কাটার ও সাকশন পাইপ পরিস্কার করে আবার ড্রেজিং শুরু করতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ড্রেজারের কাটার ও সাকশন পাইপ।
তবে এরপরেও বিআইডব্লিউটিএ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় স্তরের পলি অপসারণ করে বরিশাল বন্দর পরিপূর্ণভাবে সচল রাখার ব্যাপারে আশাবাদী। বরিশাল নদী বন্দরে প্রতিবছরই সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই নাব্যতা সঙ্কট সৃষ্টি হয়। বিআইডব্লিউটিএ বিপুল অর্থ ব্যয়ে পলি অপসারণ করে বন্দর সচল রাখার চেষ্টা করলেও বছর ঘোরার আগেই নাব্যতা সঙ্কট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তরণে এখন পর্যন্ত নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইডব্লিউএমের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ মডেল স্ট্যাডির মাধ্যমে কির্তনখোলা নদী খননের কোন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ থেকেও কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ যাত্রী ও নদী ব্যবহারকারীদের পলিব্যাগ, বোতল নদীতে না ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পলিথিন-প্লাস্টিক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ