Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কমলনগরে দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে ৩৬ লাখ টাকার কৃষি উপকরণ সহায়তা

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৩৬ পিএম

প্রাকৃতিক বান-বন্যা, মেঘনার তীব্র জোয়ারে ভেসে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তিন হাজার ১৫০ জন কৃষক ৩৫ লাখ ৯১ হাজার টাকার কৃষি উপকরণ(সার,শষ্য- বীজদানা) সহায়তা পাচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠাতে পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরকার তাদের এ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় উপজেলার আড়াই হাজার কৃষক ২৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা মূল্যের সহায়তা এবং প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ৯ লাখ ৭২ হাজার টাকার সার ও বীজ সহায়তা পাবেন। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগ সুবিধাভোগী কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। তালিকা চুড়ান্ত অনুমোদন শেষে কৃষকদের মাঝে সার ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দুই দফার অতিবৃষ্টি ও মেঘনার জলোচ্ছ্বাসে উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অধিক ফসল ফলিয়ে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুই হাজার ৫০০ কৃষকের মাঝে ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৮০ টাকার সহায়তা বিতরণ করা হবে। সহায়তা হিসেবে কৃষকরা গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, মসুর, খেসারি, টমেটো ও মরিচের বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার রয়েছে।

গমের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ২০ কেজি বীজ, সরিষার এক কেজি, চীনাবাদামের ১০ কেজি, মসুরের পাঁচ কেজি, খেসারির আট কেজি, সূর্যমুখীর এক কেজি, টমেটোর ৫০ গ্রাম ও মরিচের ক্ষেত্রে ৩০০ গ্রাম বীজ পাবেন। সঙ্গে প্রত্যেক কৃষককে সর্বোচ্চ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। অপরদিকে রবি মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৭০ টাকার বোরো, গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদম, মুগডালের বীজ ও সার পাবেন। বোরোর ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক এক কেজি বীজ, গমের ক্ষেত্রে ২০ কেজি, ভুট্টার ক্ষেত্রে দুই কেজি, সরিষার ক্ষেত্রে এক কেজি, সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে এক কেজি, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ কেজি ও মুগডালের ক্ষেত্রে পাঁচ কেজি করে বীজ পাবেন। তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইকতারুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও জমিতে অধিক ফলনের লক্ষ্যে কৃষকদের এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা ফসল আবাদে উৎসাহের পাশাপাশি অধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে অধিক লাভবান হবেন ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ