Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্তি আজ

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আজ ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তিতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তিতে বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পার্বত্য জেলাসমূহের জনগণ ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাসমূহ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তি চুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তাদের এ হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ডের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছেছ না, সেসব এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চার হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৪৯ পিএম says : 0
    শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের জন্যে গৌরবময়।আন্তর্জাতিক বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট বাংলাদেশের মর্যাদার। শান্তি প্রতিষ্টা রক্তাক্ত যুদ্ধের পরিস্থিতি প্রতিদিন সারিবদ্ধ লাশের ছবি কঠিন পরিবেশ দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জ্বাল চিন্ন ভিন্ন করে শান্তির পক্ষে শান্তির পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ কে শান্তি নগরীর প্রতিষ্টাতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার পাওয়া উপযুক্ত ছিলো শান্তিতে আন্তর্জাতিক ভাবে নোবেল প্রাইজ।বঞ্চিত দেশজাতি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরুস্কার হতে। আজ দুইযুগের দ্বারপ্রান্তে শান্তিপূর্ণ সুন্দর পরিবেশ। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার অদুরদর্শী চিন্তা চেতনায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাবান রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়ন অগ্রগতির সূর্য সারথী। একলক্ষ সতের হাজার বর্গকিলোমিটারের এই বিশালাকার সাগর বিজয়ী। ব্লুইকোনিমি সমুদ্র সম্পদের মহাপরিকল্পনার মাঝেই অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার শত ভাগ সম্ভাবনা। আকাশ বিজয়ী ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিষ্টাতা বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের আশ্রয়দাতা হাজার হাজার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মানুষের জীবন বাচানোর জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপযুক্ত ছিলো বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীকে শান্তির পক্ষে শতভাগ আন্তর্জাতিক নোবেল শান্তি পুরুস্কার । বাংলাদেশের মানুষ বঞ্চিত হলো। বিশ্ব রাজনীতির স্বীকার হলো দেশ। উপহার দিলো বিশ্ব মানবতার মা। আজ বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা দক্ষিণ এশিয়ার মর্যাদাবান মহান নেতা। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বপ্ন সারথী দেশের বিশালাকার অর্জনের জন্যে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশের সকলস্তরের মানুষের বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার ভীষন পরিকল্পনাকে সম্মান করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক পরাশক্তি সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা বিশ্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল।আজকের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির দিনে।বঙ্গবন্ধুর জর্মশত বার্ষিকীতে বাংলাদেশ হোক উন্নয়ন অগ্রগতির ও শান্তির। প্রধান মন্ত্রীর সুস্থাস্ব দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ