Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রবির আলোয় ঢাকার প্রথম জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ব্যাটিং নির্ভর স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবেই ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিতি রবিউল ইসলামের। ধার কিংবা বৈচিত্র্য, কিছুই তেমন একটা চোখে পড়ে না তার বোলিংয়ে। মন্থর উইকেটে অনিয়মিত এই অফ স্পিনারই হয়ে উঠলেন দুর্ধর্ষ। সেই নিরীহ ঘূর্ণিতেই কাটা পড়ল বরিশালের একের পর এক ব্যাটসম্যান। খাবি খেয়ে ফের ব্যাটিংয়ে বেহাল দশা দেখাল তামিম ইকবালের দল। ছোট রান তাড়ায় দল চাপে পড়লেও দারুণ ব্যাটিংয়ে ত্রাতা হলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। হ্যাটট্রিক হারের পর অবশেষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের এই জয় এসেছে কষ্ট করেই। ফরচুন বরিশালের মাত্র ১০৮ রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রবির আলোয় অবশেষে হতাশার প্রহর কাটাল বেক্সিমকো ঢাকা।
শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে বরিশাল। তিনে ও চারে নামা পারভেজ হোসেন ও আফিফ কোনো রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৩ রান এসেছে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। তাদের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই রবির শিকার। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে তার মূল পরিচয় ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করেন অফ স্পিন। এই ম্যাচের আগে ৭ টি-টোয়েন্টিতে ছিল ১ উইকেট। সেই রবি এবার ৪ উইকেট নিলেন ২০ রানে। পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেন আরেক অফ স্পিনার নাঈম হাসান ও তরুণ বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামও। চার ওভারে নাঈম মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। শফিকুল মেডেন নেন ইনিংসের ১৬তম ওভার, ডাবল উইকেট মেডেন নেন ১৯তম ওভারে।
মন্থর উইকেটে এই রান তাড়ায় এক পর্যায়ে লক্ষ্য কঠিন হয়ে ওঠে ঢাকার। ইয়াসিরের ৩০ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে শঙ্কা কাটিয়ে তারা পায় কাক্সিক্ষত জয়। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে ওপেন করে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রবি। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হয়ে যান তিনি নাঈম শেখের শট বোলারের হাত ছুঁয়ে স্টাম্পে লাগায়।
বরিশালের বোলাররা এরপর চেপে ধরেন ঢাকার ব্যাটসম্যানদের। ৪ ওভারের স্পেলে মিরাজ দেন মাত্র ১৩ রান। পাওয়ার প্লেতে ঢাকা তুলতে পারে ২২। পাওয়ার প্লের পর রান আউট হয়ে যান নাঈম শেখ। তিনে নেমে মুশফিকুর রহিম একমাত্র আগলে রাখেন। কিন্তু ভুগছিলেন তিনি রান বাড়াতে। এমনিতে ওপেনার হলেও এ দিন চারে নেমে তানজিদ হাসান তামিম রানের গতিতে কিছুটা দম দেন ২০ বলে ২২ রান করে। ১২ ওভার শেষে ঢাকার রান তখন ৩ উইকেটে ৫৪। মুশফিক ও ইয়াসিরের জুটি সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেয় একটু একটু করে। বাড়তে থাকে উত্তেজনাও। শেষ ৪ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৩৪ রান।
এই সময়টায় আর চাপ ধরে রাখতে পারেনি বরিশালের বোলাররা। দুই ওভারে যখন প্রয়োজন ১৬ রান, তাসকিন আহমেদের ৫ বলের মধ্যে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন ইয়াসির। ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থেকে যান তিনি ৪৪ রানে। মুশফিক ২৩ রানে অপরাজিত ৩৪ বল খেলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১০৮/৮ (তামিম ৩১, সাইফ ৯, পারভেজ ০, আফিফ ০, হৃদয় ৩৩, ইরফান ২৩, মিরাজ ১২, তাসকিন ৬*, তানভির ২, কামরুল ১*; শফিকুল ৩-২-১০-২, রুবেল ৪-০-৩০-১, নাসুম ৪-০-২৪-০, নাঈম ৪-১-৮-১, রবি ৪-০-২০-৪, মুক্তার ১-০-৯-০)।
বেক্সিমকো ঢাকা : ১৮.৫ ওভারে ১০৯/৩ (নাঈম ১৩, রবি ২, মুশফিক ২৩*, তানজিদ ২২, ইয়াসির ৪৪*; তাসকিন ৩.৩-০-২৮-০, মিরাজ ৪-০-১৩-১, তানভির ৪-০-২৫-০, আবু জায়েদ ৩-০-১৯-০, আফিফ ১-০-৪-০, কামরুল ৩-০-২০-০)।
ফল : বেক্সিমকো ঢাকা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রবিউল ইসলাম রবি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ