Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কারারক্ষীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা : বরখাস্ত ১

কারাগার কয়েদির আত্মহত্যা

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার জেলা কারাগারে মো. মোস্তফা নামের এক কয়েদির আত্মহত্যার ঘটনায় নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই ঘটনায় প্রধান কারারক্ষী আবু তাহেরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্য দুইজন হলেন- সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফখরুল ইসলাম ও কারারক্ষী বিল্লাল হোসেন। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন কারারক্ষী জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া সর্বপ্রধান কারারক্ষী মো. হেলাল উদ্দিনের নিকট থেকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে ‘লিখিত কৈফিয়ত’ তলব করা হয়েছে। একই ঘটনায় কারারক্ষীয় ইকবাল হোসেনের নিকট থেকেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন জেল সুপার নেছার আলম। এর আগে বিধি অনুসারে লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেন জেলার মোস্তফা কামাল। জেলা কারাগারের একটি বিশ্বস্ত্র সূত্রে এ তথ্য জানান। এদিকে, গত সোমবার কারাভ্যন্তরেই কয়েদীর আত্মহত্যার ঘটনার পরপরই দুইটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটিতে ডেপুটি জেলার সাইদুল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে। সার্জেন্ট ইন্সপেক্টর মামুনুর রশীদ ও একাউন্টেন্ট খন্দকার আজাদুর রহমানকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানপূর্বক দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেল সুপার নেছার আলম। একই ঘটনায় কারা হাসপাতালের ডা. মো. শামীম রাসেলকে প্রধান ও ডা. শামীম রেজাকে সদস্য করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাও ঘটনার বিস্তারিত জেনে প্রতিবেদন জমা করবেন। মো. মোস্তফা (২৫) গলায় ফাঁস লাগিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করেন। তার বাড়ি কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ হরিপুর গ্রামে। তার পিতার নাম বশির আহমদ। সদর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান লুতুর ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মো. মোস্তফা। গত মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জেল সুপার নেছার আলম সোমবার রাতে জানান, কয়েদীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের। কারাভ্যন্তরে কিভাবে আত্মহত্যা করল? এতে কারো অপরাধ-অবহেলা আছে কিনা? তা দেখা হচ্ছে। ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কয়েদির-আত্মহত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ