Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আম্ফানে বাংলাদেশ-ভারতের ১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি : বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৪২ এএম

এই বছরের মে মাসে বাংলাদেশ-ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বাংলাদেশ-ভারতের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা।গতকাল বুধবার বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) উল্লেখ করেছে, উত্তর ভারত মহাসাগরে হানা দেয়া এই ঘুর্ণিঝড়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দুই দেশের উপকূলবর্তী এলাকার হাজার হাজার বসতি ধ্বংস করে দেয়। প্রাণ হারান ১২৯ জন। -হিন্দুস্তান টাইমস
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ঘরবাড়ি হারান প্রায় ২৫ লাখ বাসিন্দা। ভারতের ২৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, এর মধ্যে বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার। ঘূর্ণিঝড়ে পর বেশিরভাগই নিজের বাসস্থানে ফিরে আসলেও প্রায় ২৮ লাখ বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারতের আবহাওয়া সংস্থার পরিবেশবিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথু কোল বলেন, ‘বিশ্বের মোট সাইক্লোনের মাত্র ৪ ভাগ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়। এই সাইক্লোনগুলো খুব একটা শক্তিশালী ও স্থায়ীও হয় না। কিন্তু এই ৪ ভাগ সাইক্লোনই বৈশ্বিক ক্ষয়ক্ষতির ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী এবং মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি করে।

জাতিসংঘের আন্ত:দেশীয় সংস্থা (আইপিসিসি) জানায়, ২০২০ সালের অক্টোবরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ছিলো ১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিশ্ব ভয়ঙ্করভাবে ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার কাছাকাছি এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে পূর্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রী ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে আইপিসিসি। এমনটি হলে তীব্র তাপদাহ, খরা, বন্যা, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, ভূমিধ্বস, দাবানলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাবে এবং পৃথিবী বসবাসের অনুপযুক্তও হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডব্লিউএমও আরও জানায়, ১৮৫০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২০ সাল গত দেড় শতাব্দীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ তিনটি বছরের একটি। বাকি দুটি সাল ছিলো ২০১৬ ও ২০১৯।



 

Show all comments
  • Belayet Hossen ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:১৬ পিএম says : 0
    ৮০০ কোটি মানুষ ২ টি করে গাছ লাগালে হয় ১৬০০ কোটি। কেউ ১ টি গাছ কাটলে ২ টি গাছ লাগিয়ে দিবে, আর ১০ টি গাছ কাটলে ২০ টি গাছ লাগিয়ে দিবে। তাহলে বিশ্ববাসি জলবায়ু-জলবায়ু করে না চিল্লাইয়া নাকে তেল দিয়া ঘুমাইতে পারিবেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ