Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোলন ক্যান্সার এবং ফলিক এসিড

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৮ এএম

আমাদের দেশে এখন কোলন ক্যান্সারের অনেক রুগী। কোলন ক্যান্সার একটি জটিল রোগও বটে। প্রতিবছর সারাবিশ্বে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকেই মৃত্যুবরণ করছে। সাধারণত পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স যত বাড়ে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তত বাড়ে। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার বেশী দেখা যায়। তবে ৪০ বছরের নিচে এই হার কম হলেও এবয়সের অনেক রুগীও পাওয়া যাচ্ছে, তাই সাবধান।

গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি কোলন ক্যান্সার করতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপানও কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন । বর্তমানে গবেষণায় দেখা গেছে এটি কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। দেহে কম ফলিক এসিডের কারণে ত্রুটিপূর্ণ কোষ বিভাজন হয়। এর ফলে হয় ক্যান্সার। কানাডায় ফলিক এসিড এবং কোলন ক্যান্সার নিয়ে অনেক বড় গবেষণা হয়েছে। সেই গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ফলিক এসিড গ্রহণ করেছেন তাদের কোলন ক্যান্সার কম হয়েছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ফলিক এসিড কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

ফলিক এসিডের ভাল উৎস হলো শাক এবং সবুজ পাতাযুক্ত সবজি। এছাড়া বাঁধাকপি, ময়দা, সয়াবিন, দানাদার শস্য, দুগ্ধজাত খাদ্য, সাইট্রাস ফল, বিভিন্ন মাছ এবং কলিজাতে প্রচুর ফলিক এসিড থাকে। কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে তাই এসব খাবার বেশি খাওয়া প্রয়োজন। একটু সচেতন হলেই কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। আশা করি সবাই সচেতন হবে এবং কোলন ক্যান্সারের হাত থেকে বেঁচে থাকবে।

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোলন-ক্যান্সার
আরও পড়ুন