Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নির্মাণ কাজের নারী শ্রমিকদের মুজুরী না দিয়ে পাল্টা নির্যাতন

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:০৭ পিএম

সিলেটের বিশ^নাথ-জগন্নাথপুর সড়ক নির্মাণ কাজের নারী শ্রমিকদের মুজুরী না দিয়ে পাল্টা অমানুষিক নির্যাতন করেছে কাজের টিকাদার। অসহায় নারীরা কোন উপায়ান্তর না পেয়ে প্রচন্ড শীতের মধ্যে রাত্রীযাপন করেছেন রাস্থায়। একপর্যায়ে বিশ^নাথ থানা পুলিশের টহল দল তাদের নির্যাতনের অবস্থা দেখে থানায় আসার পরামর্শ দেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, তারা প্রায় ২মাস ধরে বিশ^নাথ-জগন্নাথপুর সড়কের নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছেন। কিন্তু ঠিকাদার এ অসহায় নারী শ্রমিকদের মুজুরীর টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েও ২ মাস সময় ক্ষেপন করতে থাকে। কিন্তু শ্রমিকদের ঘরে কোন খাবার নেই, এমন কাকুতি মিনতি করার পরও কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের মন গলেনি। নারী শ্রমিকরা ঢাকার মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজ টিকাদারি প্রতিষ্টনের ঠিকাদার সুহেল আহমদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে নারী ও তাদের সাথে থাকা শ্রমিকদের লাটি পেটা করে গুরুত্বর জখম ও বিবশ্র করে রাতেই কালিগঞ্জ বাজার এরাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন ২০ জন শ্রমিক পায়ে হেঁটে রাতের প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বাগিচা বাজারের রাস্তার উপর বসে পড়ে। এসময় থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষের নেতৃত্বে একদল টহল পুলিশ শ্রমিকদের কথা শুনে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা থানায় অবস্থান করছিলেন।
ঠিকাদার সুহেল মিয়ার সাথে ০১৭১৪ ১৭৮৩৫৭ নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করা হয়ে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম মুসা ঠিকাদার সুহেলের সাথে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের মুজুরী দেয়ার কথা জানিয়েছেন। অন্যতায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
বলা আবশ্যক যে, প্রায় গত ২ বছর ধরে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের অবহেলার কারনে ৩ফুট/৪ফুট করে গর্ত হয়ে ছোট-বড় অনেক যানবাহন নষ্ট হচ্ছে এবং প্রতিদিন এ সড়কে অনেক দূর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ টিকাদারি প্রতিষ্টান রড, সিমেন্ট, পাথর কম দিয়ে মাটি ভরে একেবারে নিন্ম মানের ডালাই দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজর দেয়া উচিৎ।



 

Show all comments
  • shahasoza Jeffry online Jurnalist ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৩৪ পিএম says : 0
    অসহায় নারী শ্রমিকদের টাকা না দিয়ে উল্টো তাদের উপর টর্চারিং করেছে এর পরেও তাদের টাকা দেওয়ার যে প্রহসন মূল আশ্বাস সেটা অমানবিক। ওসি সাহেব এর প্রয়োজন ছিল প্রতারক ঠিকাদারকে এরেস্ট করে থানায় এনে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। কারণ শ্রমিকরাই দেশের প্রাণ শক্তি এই প্রাণ শক্তিকে অবহেলা করা মানে সারা বিশ্বের শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করার সমান। রুখে দাড়ান দূবিত্তের বিরুদ্ধে। এরা ঠিকাদার না এরা দূবিত্ত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ