Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশকে অস্থিতিশীলে ষড়যন্ত্র করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করার নতুন ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে, ধবংস করে দিয়েছে। এখন দেখেন নতুন করে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কুষ্টিয়াতে বিএনপির অফিস ভাংচুরের করে আবার সন্ধ্যার পরে সাধারণ সম্পাদকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এটা একটা গভীর চক্রান্তের নীল নকশার অংশ।

গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে ‘স্বৈরাচারের পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে তারা আবার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, উদোর-পিন্ডি বুদোড় ঘাড়ে চাপিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদেরকে নির্যাতন করতে চায়। তিনি বলেন, আজকে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে জাতিকে বের করে আনতে হবে। আমি অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে একটা কথা বলতে চাই, আমাদের গ্রামের মানুষেরাও কিন্তু শক্তি হারায়নি, সাহস হারায়নি। আপনি গ্রামে যাবেন, তাদের জিজ্ঞাসা করবে। সবাই বলছে যে, কবে পরিবর্তন হবে, কবে ডাক আসবে? সেই ডাক আসছে। আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। এই আবদ্ধ ঘরের মধ্যে নয়, উন্মুক্ত আকাশের মধ্যে, রাজপথে আমাদের বীর সৈনিকেরা যেভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন, যেভাবে সমস্ত অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অসুন্দরকে পরাজিত করে সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমাদের তরুন জেনারেশনকে সেভাবে এগুতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, তরুনরাই বদলায়, যুবকরাই বদলায়, সমাজ পরিবর্তন করে। আজকে মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন আপনাদেরকেই আনতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এগুতে হবে। আপনারা কখনোই হতাশ হবেন না আর কখনো হঠকারী হবেন না। দুইটোই মনে রাখতে হবে। হতাশ হওয়া যাবে না আবার হঠকারীও হওয়া যাবে না। ধৈর্য্য ধরে এগুতে হবে। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। মুহুর্তের মধ্যে গণতন্ত্র হয়ে যাবে না, মুহুর্তে মধ্যে নব্বই সালে যে বিজয় এসছিলো সেই বিজয় আসতে দীর্ঘকাল সময় লেগেছে। এই পথ খুব বন্ধুর পথ, এই পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে। কোনো উপায় নেই।

আওয়ামী লীগ সব খেয়ে ফেলছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং রাষ্ট্রকে এখন তারা বিপন্ন করে ফেলেছে। রাষ্ট্র তো এখন নেই। এখানে দুর্ভাগ্য আমাদের যে, কৃষকরা তার ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না, শ্রমিক তার মজুরি পায় না, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা করতে পারছে না। এই কোভিডের তথাকথিত প্রণোদনা শুভংকরের ফাঁকি- সব কিছু তারা একেবারে খেয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের এখন ‘সেই মুনতাসির-ফ্যান্টাসি’র নাটকের মতো সব খেয়ে ফেলছে।

তিনি বলেন, একাত্তর সালে যুদ্ধের পরে আওয়ামী লীগ দুঃস্থ্ মা-শিশুদের দুধ চুরি করে বিক্রি করে দিতো কালো বাজারে। এমন চুরি শুরু হলো যে, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনি বললেন যে, আওয়ামী লীগের নাম এখন আর আওয়ামী লীগ নেই, এর নাম নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি। এই একই অবস্থায় আছে। এখন তো আওয়ামী লীগের কাছে যাওয়া যায় না। টাকার এতো গরম। ক্যাসিনো-ফ্যাসিনো কী সমস্ত হচ্ছে। আপনার এক জায়গা থেকে কত হাজার হাজার কোটি, একটা সিন্দুক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বেরুচ্ছে। আজকের পত্রিকায়ও আছে আওয়ামী যুব লীগ-ছাত্রলীগের দুর্নীতির বিষয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলেন, আওয়াম লীগ গণতান্ত্রিক পার্টি। কোনোদিনই গণতান্ত্রিক পার্টি ছিলো না। ওদের রক্তের মধ্যে নেই, ডিএনএ‘র মধ্যে নেই। ওদের ডিএনএ‘র মধ্যে একটা নির্যাতনকারী, নিপীড়নকারী। গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ এক সাথে চলে না। কোনোদিন এক সাথে যায় না। এসময় সাবেক ছাত্র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ