ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে জিলবাংলা চিনিকল

পূঞ্জিভূত ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জিল বাংলা চিনিকল ধ্বংসের দ্বাড়প্রান্তে দাড়িয়েছে। দীর্ঘ দিনের বকেয়া ঋণের
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
রূপগঞ্জে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পৃথক স্থানে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাদিয়া আক্তার (২৩) ও মাসুদা বেগম (৩৭) নামে দুই গৃহবধূর উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার আড়িয়াব ও গতকাল রোববার সকালে মাঝিনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া খালপাড় এলাকার বজলুল শেখের মেয়ে। মাসুদা বেগমের জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দয়াকান্দা এলাকার মৃত মতি মোল্লার মেয়ে। গৃহবধূর মা আলেয়া বেগম জানান, পাঁচ বছর আগে সাদিয়া আক্তারের সঙ্গে আড়িয়াব এলাকার জসিম উদ্দিন ভুইয়ার ছেলে আসাদ ভুইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ টাকা ও স্বর্নালংকারসহ দেড় লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান করা হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে তাসফিয়া নামে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শাশুড়ি আয়শা বেগম গৃহবধূকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে জ¦ালা যন্ত্রণাসহ শারীরিক নির্যাতন করতো। গতকাল রোববার সকালে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূ সাদিয়া আক্তারের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে তিন বছরের কন্যা সন্তানকে রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয় কমিশনার বিচার শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে। নির্যাতনকারীরা স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিচার শালিস না মেনে চলে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অপর গৃহবধূ মাসুদা বেগম জানান, ১৫ বছর আগে মাঝিনা এলাকার মৃত ইসহাক মৃধার ছেলে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মাসুদা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে জন্নাতুল ফেরদাউস ও নুসরাত জাহান নিশাতি নামে দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই মাসুদ বেগম জানতে পারে দেলোয়ার হোসেন তাকে না জানিয়ে শিউলী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দেলোয়ার হোসেন বেশ কিছুদিন ধরেই সংসারের কোন খরচ দেয় না। রোববার সকালে স্বামী দেলোয়ার হোসেন, সতীন শিউলী বেগম, রহম আলী, আমেনা বেগম, সোহেল মিলে গৃহবধূ মাসুদা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এছাড়া যদি আর কখনো স্ত্রীর অধিকার দাবি করলে মাসুদা বেগমকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পৃথক ঘটনায় তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।