Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নওগাঁয় থাম্বা ছাড়াই বাঁশ, মরা গাছ দিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৩২ পিএম

নওগাঁর রাণীনগর-আত্রাইয়ের বিশ্ব বাঁধের উপর দিয়ে থাম্বা ছাড়াই নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বাঁশ ও গাছের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন। ইত্যেমধ্যে এই তারে জড়িয়ে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন। আতঙ্কে থাকা এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে থাম্বা ছাড়াই অবৈধ ভাবে সেচ প্রকল্প ও রাইচ মিলে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লি: এর নওগাঁর কোন কর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অরিক্ষিত ভাবে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। আবার কোথায় ঝুলে রয়েছে তার। মিটারের বক্সও ভাঙ্গা। দেখলে মনে হবে কেই ফেলে গেছে পরিত্যক্ত বা বিছিন্ন বৈদ্যুতিক তারসহ সরঞ্জামাদি। এই দৃশ্যটি নওগাঁর রাণীনগর-আত্রাইয়ের বিশ্ব বাঁধের উপর।
ঘোষগ্রামের সাজ্জাদ হোসেনসহ স্থানীয় রহিম মন্ডল, কাশেম সরকারসহ অন্যরা জানিয়েছেন, রাণীনগর উপজেলার কুজাইল সুইচ গেইট থেকে ধনপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার বাঁশ ও মরা গাছের উপর দিয়ে থাম্বা ছাড়াই প্রায় ২৫টি বৈদ্যুতিক তার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৫/৭ বছর আগে নওগাঁ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে এই অবৈধ্য বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়। অবৈধ্য ভাবে সেচ প্রকল্প ও রাইস মিলে সংযোগ দেওয়া এলাকাবাসি ও পথচারিরা আতঙ্কে থাকেন।

স্থানীয় রাশেদ হোসেন, সূরুজ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নওগাঁ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সেচ প্রকল্পের মালিক ও রাইস মিলের মালিকদের কাছে থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে এই অবৈধ্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। দ্রæত এই ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
আত্রাই উপজেলার বড়কালিকাপুর গ্রামের সাগর হোসেন জানান, এই বাঁধ দিয়ে প্রতি দিন মান্দা, বাগমারা, নওগাঁ সদর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার শতশত যানবাহন চলাচল করে। তার মতো এলাবাসি ও পথচারি সব সময় দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কায় থাকেন। দ্রুত উধ্বর্তন মহলকে পরিকল্পনাহীন কর্মকান্ডের ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় দাবি জানান।

রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, নওগাঁ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা বিহীন নিয়ে যাওয়ায় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তিনি গুরুত্বর আহত হন। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক তার বিছিন্ন না করে দ্রæত থাম্বা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া দাবি জানান।
নওগাঁ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বর্তমানে বে-সরকারি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) লি: এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির হোসেন কোন কথা বলতে রাজি হননি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ