Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৩৮২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

তিন হাজার ৮২২ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবসহ মোট ১৪ টি ক্রয় প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে এরমধ্যে ১০ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৮৯ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বেসরকারিখাতে বাগেরহাটে মংলায় ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৩৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। যৌথভাবে চায়নার একটি প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান এবং হংকং ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছে। সুপারিশকৃত দরদাতা চায়নার কনসোর্টিয়াম অব ইনভেশন এনার্জি, এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হংকং ভিত্তিক ইনভিশন অফ রিনিওয়াবেল এনার্জি লিমিটেড। ১০ টাকা ৫৬ পয়সা কিলোওয়াট পার আওয়ার মূল্যে এ বিদ্যুত সরবরাহ করা হবে। ২০ বছরের চুক্তিতে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক (আর-১১১) (সাইনবোর্ড-চাষাড়া) ৬-লেনে উন্নীতকরণ শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্যাকেজের কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৪ কোটি ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯০৭ টাকা। কাজটি যৌথভাবে পেয়েছে ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড এবং হাসান টেকনো ব্রাদার্স লিমিটেড। এখানে লিড পার্টনার হিসেবে থাকছে তাদের ব্রাদার্স লিমিটেড।

এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাল্টিপারপাস ইনসেপ্ট অন ভেসেল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন। দুই লটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। লট ওয়ানের ক্রয় মূল্য ৫৭ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং লট ২ এর ক্রয়মূল্য ৫০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে জেএফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড, আনন্দ শিপইয়ার্ক ও সিøভওয়ে লিমিটেড।

চলতি অর্থবছরে জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কাতার ও সউদী আরব থেকে ৭৫ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার ক্রয়ের তিনটি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে সরকারের মোট ব্যয় ধরা হবে ১৬৭ কোটি ৮৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজ থেকে ৮ম লটে ২৫ হাজার মেট্রিকটন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন প্রস্তাব করা হয়। ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকায় সার আনা হবে।

বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে চলকি অর্থবছরের জন্য সউদী আরবের এসএবিআইসি থেকে ৯ম লটে ২৫ হাজার মেট্রিকটন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন প্রস্তাব। ৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার টাকায় এ সার আনা হবে।
চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সউদী আরবের এসএবিআইসি ২৫ হাজার মেট্রিকটন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন প্রস্তাব। ৫৫ কোটি ৯০ লাখ টাকায় এ সার কেনা হবে।

এছাড়া খাদ্য অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের আওতায় আধুনিক স্টীল সাইলো নির্মাণ কাজের সুপারভিশন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গ্রিকো ফ্র্রান্স এর সাথে বিদ্যমান চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব। ২১ কোটি ৫৫ লাখ এর সাথে ২২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা যুক্ত হয়েছে ভেরিয়েশন ৪৪ কোটি ৯ লাখ টাকা দাড়িয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্যাকেজ ২ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাশমতি সেদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাবে সায় দেয়া হয়েছে। এর সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ে এম এস রিকা গেøাবাল ইমপ্যাক্টস লিমিটেড।

প্রকল্পবের বিস্তারিত তুলে ধরে আবু সালেহ বলেন, ২ কোটি ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় এ চাল কেনা হচ্ছে জানিয়ে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা ২৮ পয়সা দেশের বন্দর পৌঁছানে পর্যন্ত খরচ পড়বে। প্রতি টনে ক্রয়মূল্যে দাড়াবে ৪০৪ দশমিক ৩৫ মার্কিন ডলার। ভারত থেকে এ চাল আসবে।
এর আগেও গত ৩৩তম ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা বৈঠকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন নন-বাশমতি সিদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিলো কমিটি। তখন প্রতি কেজি চালের দাম ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা৷ আর প্রতি টনে ক্রয়মূল্যে দাড়াবে ৪১৬ মার্কিন ডলার। এর সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভ‚মের এম এস পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ