Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার

সংবাদ সম্মেলনে এনআরবিসি চেয়ার‌্যমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের (এনআরবিসি) চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেছেন, প্রবাসীদের স্বপ্নের ব্যাংক এনআরবিসি। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের কটেজ, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্প ও কৃষিসহ মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করা। বিশেষ করে অফলাইন থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড অনলাইন সেবা চালু। এতে ব্যাংকের কর্পোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা সহজ হবে। এ জন্য প্রথাগত শাখা নির্ভর ব্যাংকিং ধারণা থেকে বের হয়ে প্রযুক্তিনির্ভর উপশাখা সেবা চালু করা হয়েছে। 

ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩৬৭ টি উপশাখা চালু করা হয়েছে, যার ৯০ শতাংশ গ্রামে অবস্থিত। গরীব মানুষের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিআরটিএ লাইসেন্স, ইটিআইএন, অনলাইন জমি রেজিস্ট্রেশন অর্থ আদায় কার্যক্রমে চতুর্থ প্রজম্মের এনআরবিসি ব্যাংক বছরে প্রায় ৭৪ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করছে। এছাড়া বৈদশিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এনআরবিসি ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এএম সাইদুর রহমান, উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুখতার হোসেন, অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. তালহা, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান কবীর আহমেদ ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হারুনুর রশিদসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পারভেজ তমাল বলেন, ব্যাংকটিকে আইটি নির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে ঋণ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে। আমরা রিয়েল টাইম সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং আগামীতে আরও সহজ করতে প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমাদের প্রধান কাজ জনগণের আমানতের সুরক্ষা, স্বচ্ছ বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগ থেকে আয় করে তা আমানতকারীদের মুনাফা হিসেবে প্রদান করা। এটির জন্য সবপর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পারভেজ তমাল বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর প্রথম কোন ব্যাংক হিসেবে আমরা পুঁজিবাজারে আসছি। বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা মূল্যমানে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও সফল হব। চতুর্থ প্রজন্মের অন্যান্য ব্যাংকও চাইলে এভাবে পুঁজিবাজারে আসতে পারে।
এনআরবিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ব্যাংকের উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসীদের অর্থ দেশের বিনিয়োগে নিয়ে আসা ও রেমিট্যান্স বাড়ানো। কিন্তু আমাদের ব্যাংকের লাইসেন্স দেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকের মতো। ফলে প্রবাসীদের কাঙ্খিত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বাধার মুখে পড়ছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এমডি মো. মুখতার হোসেন বলেন, করোনাকালে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক নিজস্ব উদ্যোগেও ঋণ দিচ্ছে। করোনাকালে ২০২০ সালে অনেক কঠিন ছিল। তবে আগামী বছর কেমন হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়তে পারে। তবে পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঋণ দিচ্ছে। বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে এই ঋণদেয়া হচ্ছে। এছাড়া গত তিন বছরে ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণসহ আর্থিক সূচকগুলোতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এনআরবিসি-চেয়ার‌্যমান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ