নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রীড়া জগতের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্কটা আজকের নয়। সাধারণত দেখা যায় ক্যারিয়ারের শেষেই রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু ১৯ বছর বয়সেই কোনো খেলোয়াড়ের রাজনীতিতে ঢুকে যাওয়া, তা-ও আবার দেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া...চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাই বটে। এমনই ঘটেছে বলিভিয়ায়।
বাংলাদেশের কথাই ধরুন। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একজন উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেট দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়ও খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে, দুবারের সংসদ সদস্যও হয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক টেস্ট, ওয়ানডেতে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বর্তমানে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাইরে নজর দিলে, ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমরান খান এখন দেশটার প্রধানমন্ত্রী। একই কথা বলা যায় লাইবেরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জর্জ উইয়াহর ক্ষেত্রেও। ব্যালন ডি’অরজয়ী এসি মিলানের সাবেক এই স্ট্রাইকার এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যোগ্য হাতে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার চেতন চৌহানও দুবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপমন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্ব আছে বিশ্বকাপজয়ী তারকা সনৎ জয়াসুরিয়ার। এমন উদাহরণ খুঁজলে আরও ভ‚রি ভ‚রি পাওয়া যাবে।
কিন্তু প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একটা জিনিস সাধারণ। সবাই খেলোয়াড় হিসেবে পাট চুকানোর পরেই নাম লিখিয়েছিলেন রাজনীতিতে। বা ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। ক্যারিয়ারের একদম শুরু থেকে কাউকে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। আর এখানেই চমক দেখালেন সিয়েলো ভিজাগা। ক্যারিয়ার এখনো ঠিকভাবে শুরু হয়েছে কি হয়নি, এর মধ্যেই নিজ দেশের ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন এই তরুণী।
প্রশ্ন উঠতে পারে, কে এই সিয়েলো ভিজাগা? বলিভিয়ায় ইতিহাস রচনা করেছেন তিনি। ১৯ বছর বয়সী নারী যুব দলের এই ফুটবলারকে ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশটাতে। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায়ে বলিভিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন ভিজাগা। গত শুক্রবারে তার শপথপাঠও হয়ে গেছে। ক্ষমতায় থাকা মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম (এমএএস) পার্টির হয়ে এই দায়িত্ব নিয়েছেন ভিজাগা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অবস্থার উন্নতির জন্য প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের নেওয়া একাধিক সিদ্ধান্তের মধ্যে এটিও একটি। দায়িত্ব পেয়েই দেশের তরুণ ক্রীড়াবিদদের জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন এই উপমন্ত্রী, যেকোনো মহামারির বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হলো ক্রীড়া। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজেও সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখে এটি। দেখা যাক, ভিজাগা আরও কী কী চমক দেখাতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।