মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দলের ভেতরেই যখন ভাঙন, ক্রমাগত চাপে এবার সরকার ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী। দল ও দলের বাইরে রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই বেড়েছে।সেজন্য আজ রবিবার সকালে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। আর তারপরই সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। দেশটির প্রেসিডেন্টের অফিসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।’ একইসঙ্গে মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রস্তাব মতো জাতীয় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেন রাষ্ট্রপতি। নতুন বছরের ৩০ এপ্রিল এবং ১০ মে ভোট হবে। -হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠকও করেন তিনি। এরপরই রবিবার সকালে ডাকা হয় মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক। তারপরই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘেঘাষণা দেন তিনি।গত মঙ্গলবার কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিল অ্যাক্ট বা সাংবিধানিক পরিষদীয় আইন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারি করেন কেপি শর্মা ওলি। ওইদিনই সেটা প্রেসিডেন্ট দেবী ভান্ডারীকে দিয়ে স্বাক্ষরও করিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। তারপর থেকেই ওই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের জন্য চাপ বাড়ছিল ওলির উপর। গত ১৫ তারিখ ওই অর্ডিন্যান্স পেশ হয় নেপাল পার্লামেন্টে। এই আইন কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিলকে অনুমতি দিচ্ছে, সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই তারা বৈঠক ডাকতে পারে। আর ওই আইন পেশ হওয়ার পর ১৫ তারিখ সন্ধ্যাতেই ওলি তার দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিলের নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এর অন্য সদস্যরা হলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, জাতীয় অ্যাসেম্বলির চেয়ারপার্সন, বিরোধী দলনেতা এবং ডেপুটি স্পিকার। বিভিন্ন কন্সটিটউশনাল ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয় এই কাউন্সিল।
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে। কারণ, নেপালের কন্সটিটউশনে এধরনের কোনও কিছুর উল্লেখ নেই। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বর্ষীয়ান নেতা মাধব কুমার নেপাল এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দাহাল ওরফে প্রচন্ড ওলির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ওলি সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।