Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:০৯ পিএম | আপডেট : ৭:৩৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশের বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির সাথে অনেকাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। যার ফলে আইনটির মূল উদ্দেশ্য তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহ।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা’য় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) সমন্বয়কারী (যুগ্ম-সচিব) মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে আইন সংশোধনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তামাকবিরোধী সংগঠনের কর্মীরা। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাবো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত¡ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান প্রফেসর সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। পাশাপাশি এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতার ক্ষতি হয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি তামাকের ব্যবহার হ্রাস করার মাধ্যমে এই অকালমৃত্যু ও আর্থিক ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তা আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে যেসব ক্ষেত্রে সংশোন দরকার তার মধ্যে রয়েছে: সব ধরনের গণপরিবহন ও পাবলিক প্লেসে তামাক ব্যবহার শতভাগ নিষিদ্ধ করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার নির্ধারণ করে দেয়া এবং তামাকদ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনটিসিসি’র সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। এই ধারাবাহিকতায় আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রকল্প সমন্বয়ক মো. মোখলেসুর রহমান, প্রগতির জন্য জ্ঞানÑপ্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়কারী হাসান শাহরিয়ার, ভয়েস-এর তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়কারী জায়েদ সিদ্দিকী, সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ