Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেসরকারি কুইকরেন্টাল নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ সিপিডি’র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:১১ পিএম

সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ খাতে সফলতা আছে উল্লেখ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, সিস্টেম লস কমানো, ভর্তুকি কমানোর মতো বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে তুলে ধরে সিপিডি।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎদপাদন সক্ষমতা চার গুণ বেড়ে ছাড়িয়ে গেছে ২০ হাজার মেগাওয়াট। তবে অর্থনীতি যতটা এগিয়েছে এ সময়ে দেশের শিল্প খাতে ততটা বাড়েনি বিদ্যুতের চাহিদা। দেশের কৃষি ও আবাসিক ব্যবহারে বিদু্যুতের চাহিদা ও সরবরাহে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সরকারের হাতে এখন রিজার্ভ উৎপাদন সক্ষমতা আছে তাই এখন বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলায় সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কেননা ২০০৯ সালের মতো খারাপ পরিস্থিতি আর নেই। সরকার সেখানে সফল হয়েছে।

আলোচনায় বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় আর দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার পাশপাশি অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তেলভিত্তিক বেসরকারি কেন্দ্র থেকে সরে আসার পরামর্শ দেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং এমজেএল লুব্রিকেন্টের পরিচালনা বোর্ড সদস্য প্রফেসর ইজাজ হোসেন বলেন, কুইকরেন্টাল রিস্ক ছাড়া বড় অঙ্কের মুনাফা করার সুযোগ দিয়েছে, তাই দৌড়ে এসেছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু ট্রান্সমিশনে আসেনি তারা। কোনো অবস্থাতেই বিদ্যুতের মতো এমন স্পর্শকাতর খাতে বেসরকারি খাত সরকারি সক্ষমতার বেশি হতে দেয়া যাবে না।

এ সময় টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (¯্রডো) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, জমির স্বল্পতায় সৌর, বায়ুনির্ভর এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। হাইড্রো বিদ্যুৎ নেপাল, ভুটান বা মিয়ানমার থেকে আমদানি করলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা সহজে পূরণ হয়। তবে বায়ুকলের একটা ভালো উপায় হতে পারে উপক‚লীয় ৭০০ কিলোমিটার এলাকার ব্যবহার। সেটার সম্ভাব্যতা যাচাই করা যেতে পারে।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সংস্থা পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, অস্বীকার করব না যে, আমরা শিল্প খাতে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহে পুরোপুরি আস্থাশীল হয়ে উঠতে পারিনি। এ কারণে রিজার্ভ ক্যাপাসিটি বেড়েছে। তবে আমরা সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছি। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৩ শতাংশের মতো নবায়নযোগ্য উৎস। ২০২১ সালের মধ্যে যার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। আর বিশ্বে গত ৫ বছরে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫০ শতাংশই পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর। সিপিডির আলোচনায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা রেখে গ্রিনবিল্ডিং নির্মাণে প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শও উঠে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিপিডি

২৭ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ