Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ার নন্দীগ্রামে গৃহহীন পুনর্বাসনে অনিয়ম

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৫৮ এএম

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমি-বাড়ি নেই, এমন পরিবারগুলো দুর্যোগ সহনীয় সরকারি ঘর অধিকার রাখলেও উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের ভুমিহীনের তালিকায় অনিয়ম করা হয়েছে। আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের তালিকা প্রনয়ন করে বাস্তবায়ন করার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার, ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাটরা গ্রামের মোহাম্মদ আলী আকন্দ ন ামের একজন। একই বিষয়ে ওইদিনই বগুড়া জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে প্রথম পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন কাজ চলমান রয়েছে। এতে গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন আওতায় উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে ১৪ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ৬নং ওয়ার্ডের রঞ্জয় তেঘর মৌজার কামারপুকুর ও দোপুকুরিয়া মৌজার পুরানপুকুর এলাকায় গত নভেম্বর মাস থেকে ঘর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম বলেন, ভূমি-বাড়ি নেই, এমন পরিবারগুলো ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাবেন বলে উল্লেখ করলেও বাস্তবে তা’ করা হচ্ছেনা।
এপ্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলী তার লিখিত অভিযোগে অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রকৃত ভূমিহীনদের বাদ নিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের তালিকা করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া ১৪ পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেরই জায়গা-বাড়ি থাকা সত্বেও সুবিধা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে প্রকৃত ভূমিহীনদের বঞ্চিত করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটরা গ্রামের ইউনুস আলীর জায়গা-বাড়ি থাকা সত্বেও তালিকায় তার নাম রয়েছে। তবে সরকারি ঘর নেওয়ার জন্য তিনি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে উঠেছেন। ভূমিহীন থাকার নাটক সাজিয়ে লোক দেখানো অভিনয় করছেন রঞ্জয়তেঘর গ্রামের নাবিউল সহ আরও কয়েকজন এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ভাটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকে চিনিনা। তালিকা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তিনিই এর জবাব দেবেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন আখতার বলেন, যাচাই-বাছাই করেই তালিকা হয়েছে। তারপরেও যদি অনিয়ম হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ