Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাঠ ফেটে চৌচির দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দিনাজপুর অফিস ও হিলি সংবাদদাতা

আকাশে মেঘ নেই। খাঁ খাঁ রোদ। চলছে দীর্ঘ খরা। খরায় পুড়ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার রোপা আমনের জমি। মাঠ ফেটে চৌচির, খরায় পুড়ছে রোপা আমন ধান। অনেক স্থানে পানির অভাবে জমি রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা। চলতি বর্ষা মৌসুমের শ্রাবণ মাসে প্রথমদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। ফলে কৃষকরা মনের আনন্দে উঁচু নিচু জমি রোপণ শুরু করে। কিন্তু শ্রাবণের ভরা মৌসুমে স্মরণকালের খরা চলছে। কৃষকরা প্রথমেই উঁচু জমিগুলো রোপণ করেছে। এখনও নিচু জমি রোপণ চলছে। নিচু জমিগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পানি। কিন্তু উঁচু জমিতে রোপণকৃত আমণ আবাদ আবার খরায় পুড়ছে। উঁচু জমির সংখ্যা বেশি হওয়ায় কৃষরা পড়েছে মহা বিপদে। যদিও কোনো কোনো এলাকায় ডিপ, শ্যালো দিয়ে পানি সেচ দেয়া হচ্ছে। অনেক এলাকা ডিপ বা শ্যালো দিয়ে পানি সেচের সুবিধা নেই। এসব এলাকায় মাঠের জমি ফেটে যাচ্ছে। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে একটানা খরার কারণে অধিকাংশ জমিতে পানি নেই। অনেক জমি শুকিয়ে ফাটল ধরেছে। অনেক এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভরা বর্ষা মৌসুমে শ্রাবণ মাসে এমন খরা তারা দেখেনি। ঘোড়াঘাটে উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মোঃ কাদের আলী জানান, যদি দুই এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হয় তাহলে লাগানো আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানান, এবার ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১১ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০ ভাগ জমি রোপণ করা হয়েছে। বাকি ২০ ভাগ জমি খরার কারণে রোপণ করা যাচ্ছে না। এমন খরা আর কিছু দিন থাকলে অনেক কৃষকের রোপা আমন সেচের অভাবে মারা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাঠ ফেটে চৌচির দুশ্চিন্তায় কৃষক
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ